দাম বাড়ছে ডিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বেশ কম দামে বিক্রি হয় ডিম ও মুরগি। তবে রোজার আগে মুরগির দাম বেড়ে যায়। দুই রোজা যেতেই এখন দাম বেড়েছে ডিমের। দুদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে ডিম ও মুরগির দাম কমে যায়। ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম দফায় দফায় কমতে কমতে গত সপ্তাহে ৭৫ টাকায় নেমে আসে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ১০০ টাকা নামে।

তবে রোজার আগে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যায়। ১০০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে হয় ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। এরপর দুদিন ধরে বেড়েছে ডিমের দাম। বিভিন্ন বাজারে এখন ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

ডিমের দামের বিষয়ে যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী আলম বলেন, ‘গত সপ্তাহে ডজন ৭০ টাকায়ও বিক্রি করেছি। এখন এক ডজন ডিম বিক্রি করছি ৮০ টাকা। ডিমের দাম বেড়েছে। এ কারণে আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করছি।’

এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুদিন কিছুটা দাম বাড়লেও আমাদের হিসাবে এখনও ডিম কম দামেই বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন ৯০ টাকার নিচে বিক্রি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে হুট করে ডিমের চাহিদা ব্যাপক কমে যায়। যে কারণে অস্বাভাবিক দাম কমে গিয়েছিল। এখন আবার ডিমের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ধারণা, সামনে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে।’

যাত্রাবাড়ীর মতো ৮০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করতে দেখা যায় রামপুরা ও মালিবাগের বিভিন্ন বাজারে। তবে খিলগাঁওয়ে ডিমের ডজন ৮৫ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়।

৮৫ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করা রুবেল বলেন, ‘ডিম বাজারজাত করার যে সমস্যা ছিল তা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। এ কারণে ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে ডিম কেনার কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। এই ডিম গত সপ্তাহে ৭৫ টাকা ডজন বিক্রি করেছি।’

এদিকে ডিমের দাম বাড়ার আগে রোজাকেন্দ্রিক মুরগির দাম বেড়ে যায়। ১০০-১১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুরগির দাম বেড়ে ১২৫-১৩৫ টাকা হয়েছে। ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫০-৫০০ টাকা।

সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই গরু ও খাসির মাংসের দাম চাড়া। তবে করোনার কারণে প্রথমবার গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকা ছুঁয়েছে। বাজারভেদে এখন গরুর মাংসের কেজি ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ‘করোনার শুরুতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এরপর দাম কমে যায়। প্রায় এক মাস ব্রয়লার মুরগি কেজি ১১৫-১২০ টাকা বিক্রি করেছি। সেই সময় বিক্রিও কম হয়েছে। তবে রোজার আগে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দামও বেড়েছে। এখন ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও প্রতিদিন আগের থেকে দ্বিগুণের বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

এমএএস/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।