করোনায় রেকিট বেনকিজারের মুনাফার পালে হাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ০১ মে ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়লেও পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজারের মুনাফার পালে হাওয়া লেগেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটি ব্যবসা করে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ মুনাফা অর্জন করেছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় জানুয়ারি-মার্চ সময়ের ব্যবসায়িক তথ্য পর্যালোচনা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪ পয়সা।

আগের বছরের একই সময়ে কর পরবর্তী মুনাফা হয় ৭ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১৫ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ৮ টাকা ৫৮ পয়সা।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের থেকেও ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফায় বেশি উল্লম্ফন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে রেকিট বেনকিজার শেয়ারপ্রতি মুনাফা করে ১৫ টাকা ৪৬ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২১ টাকা ৮২ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়। এতে তিন প্রান্তিক বা নয় মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৬৭ টাকা ৯৬ পয়সা।

তবে লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে কোম্পানিটি উল্লেখ করেছে, ২০১৯ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১৩১ টাকা ৬ পয়সা। এ হিসেবে ২০১৯ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর এই তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটির যে মুনাফা হয়েছিল, মাত্র তিন মাসের ব্যবসায় তার সমান মুনাফা হয়েছে।

মুনাফার এই উল্লম্ফনের ওপর ভর করে ২০১৯ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য রেকর্ড পরিমাণ ১২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডেটল, মরটিন, হারপিক, ভ্যানিশ, লাইজল ও ভিটসহ কয়েকটি প্রসাধন পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শেয়ারহোল্ডারদের মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে।

ফলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বরাবরই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যে কারণে এখন শেয়ারবাজারের সব থেকে দামি শেয়ারের প্রতিষ্ঠান এটি। তবে এক হিসাব বছরে এর আগে কখনো ১২৫০ শতাংশের এত বড় লভ্যাংশ দেয়নি বহুজাতিক এই কোম্পানিটি।

এর আগে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৮ সালে ৭০০ শতাংশ নগদ, ২০১৭ সালে ৭৯০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ৭৭৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ সালে ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এমএএস/এমএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।