স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান বন্ধ : মালিক সমিতি
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দিতে বলেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সোমবার (১১ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্ করা গেছে যেসব ক্রেতা শপিং করতে এসেছেন তারা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই কেনাকাটা করছেন। মার্কেটগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক গুরুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
হেলাল উদ্দিন বলেন, তারপরও যদি কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে না পারেন; সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সমিতি ও মার্কেট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব- তাৎক্ষণিক দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেবেন। যদি তাও সম্ভব না হয়; তাহলে পুলিশের সহায়তা নেবেন।
তিনি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছি; তাই কোনো মতেই বেখেয়াল হলে চলবে না।
এর আগে গত সোমবার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ১০ মে থেকে দোকান ও শপিংমল সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দেয়। এদিকে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রমজান মাসে রাজধানীর অন্যতম সেরা দুটি শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সসহ অধিকাংশ শপিংমল না খোলার নিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারাদেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শপিংমলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। পর্যায়ক্রমে ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ২৩৯ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৯১।
চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসের কবলে। মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪২ লাখ। মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ৮৪ হাজার প্রায়। তবে প্রায় ১৫ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।
এসআই/বিএ/এমকেএইচ