করোনাকালীন অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার নির্দেশ
করোনাকালীন অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করে কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পসচিব কে এম আলী আজম।
রোববার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। এতে মন্ত্রণালয়ের সব অনুবিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বলেন, নির্ধারিত সময়ে মন্ত্রণালয় গৃহীত প্রকল্পসহ অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে উইংভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক তা পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি জাতীয় স্বার্থে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও জ্ঞান কাজে লাগানোর তাগিদ দেন।
সভায় বিগত এক বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্জিত সাফল্য, মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করা হয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় জানানো হয়, এডিপিভুক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে গত অর্থবছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও সংস্থাভিত্তিক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা মহামারিকালে সরকারি ছুটির মধ্যেও এসব প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরেও শিল্প মন্ত্রণালয় সাফল্যের ধারা অক্ষুণ্ন রাখবে বলে সভায় আশা প্রকাশ করা হয়।
সভায় চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সাভার চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের বিদ্যমান সুবিধার পরিপূর্ণ ব্যবহার, আসন্ন ঈদুল আজহায় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, অস্থায়ী কেমিক্যাল গুদাম নির্মাণ, প্লাস্টিক ও মুদ্রণ শিল্পনগরীর বাস্তবায়নসহ অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
একই সাথে গত বছরের ঈদুল আজহায় চামড়া শিল্পখাতে সৃষ্ট সমস্যার কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দফতরে অপেক্ষমান শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিষ্পত্তির জন্য ব্যক্তিকেন্দ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধির নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসআই/বিএ/এমকেএইচ