দুস্থ নারীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ভিজিডি

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। যা দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ভিজিডি কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো— বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত এবং দুস্থ গ্রামীণ নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক উন্নয়ন করা। যাতে তারা বিদ্যমান খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা এবং নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অবস্থানকে সফলভাবে অতিক্রম করে দারিদ্র্য স্তরের ওপরের অবস্থানে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চুক্তিবদ্ধ এনজিওর নির্বাহী পরিচালকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালায় উপস্থিত এনজিওর নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, আপনারা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অন্যতম অংশীদার। ভিজিডির মাধ্যমে দুস্থ নারীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে আপনাদের যে দায়িত্ব তা শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করুন। সরকারও আপনাদের ভানো কাজের ইতিবাচক মূল্যায়ন করবে।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী দশ লাখ চল্লিশ হাজার ভিজিডি উপকারভোগী নারীর পরিবারকে অন্তত বাল্যবিয়ে থেকে মুক্ত রাখবেন। পাশাপাশি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এনজিও কর্মীদের সচেতনতা বাড়ানো এবং সরকারি অনুদান যথাযথভাবে ব্যয় করার আহ্বান জানান।
এসময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার লোকজন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছেন। এসব লোকজন ৩/৪ বছরে কোনো রকমে কিছু সঞ্চয় করে মাথা তুলে দাঁড়ায়। আবার বন্যা, ঝড়ে তাদের জীবন শূন্য হয়ে যায়। তিনি এনজিও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এসব অসহায় লোকদের জন্য গুরুত্ব দিয়ে কাজ করুন।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব ডা. আ এ মহিউদ্দিন ওসমানী, অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শামিম আক্তারসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তরসংস্থা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় সুলতানা আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী এবং সোসাইটি ফর স্যোসাল এভাসমেন্ট ফর রুরাল পিপলের (সার্প) নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল হোসেন এনজিও প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আইএইচআর/এমএএইচ/এমএস