আড়াইহাজারে হবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল

জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডের মধ্যে চুক্তির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত একটি জায়গা হলো জাপানি বিনিয়োগ এখানে আসবে। জাপানের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী জাইকা বার বার বলছে, বাংলাদেশে সুযোগ-সুবিধা পেলে তারা বিনিয়োগ করবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় একটি প্রস্তাবনা অনুমোদন দিয়েছি। সেখানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ও সুমিতোমো করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে আড়াইহাজার উপজেলায় যে প্রকল্পটি আছে সেটা তারা একসঙ্গে বাস্তবায়ন করবে।
'এটি হবে দেশের জন্য মাইলফলক। আমার মনে হয়, আগামীতে আমরা এ ধরনের আরও অনেক প্রকল্প নেবো। আমাদের সব রকমের অবকাঠামো আছে। বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ভালো জায়গা বাংলাদেশ। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগ পাবে।'
প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক হাজার একর জমির ওপর বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে জি-টু-টি ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে বেজা ও সুমিতোমো করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন ও পরিচালনার লক্ষ্যে বেজা ও সুমিতোমো করপোরেশনের যৌথ অংশীদারত্বে গঠিত বিশেষ কোম্পানি বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডের সঙ্গে উন্নয়ন চুক্তি এবং জমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের জন্য আঞ্চলিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পণ্য/সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় আগামী ৮ থেকে ১১ মার্চ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের জন্য (এফএও) আঞ্চলিক সম্মেলনের (এপিআরসি) ৩৬তম সেশন বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পণ্য/সেবা উম্মুক্ত দরপত্র অনুসরণ করে স্বল্পসময়ে ক্রয় করা সম্ভব নয়। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮(১) ধারা এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পণ্য/সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন (জিটি) এবং গ্যাস টারবাইন জেনারেটর (জিটিজি) অংশের ওয়ারেন্টি সময়কাল ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অতিক্রান্ত হওয়ায় জরুরিভিত্তিতে সময়সূচি রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জিটি এবং জিটিজি অংশের মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জার্মানির সিমেন্স। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে ঘোড়াশাল ৩৬৫ মে.ও. কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জিটি এবং জিটিজি অংশের খুচরা এবং ভোগ্য সামগ্রী এবং সময়সূচি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮(১) ধারা এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) হতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস