শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি বাড়ল
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরও তিন দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। শনিবার সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৪ এপ্রিল করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ ছুটির আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক চৌধুরী।
রোববার মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিলের পরিবর্তে এটি ১৪ এপ্রিল করা হয়েছে। এ ছুটির আওতায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আলাদা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে না, যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তার আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ছুটি আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। ১২ ও ১৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি এই ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে।
শনিবার দুপুরে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জাগো নিউজকে ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।’
করোনার কারণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল করা হয়। এখন আবারও ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাস রোগ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৪ মার্চ ও ১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির ধারাবাহিকতায় ১২ ও ১৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করেছে। ১৪ এপ্রিল নববর্ষের নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এ ছুটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) রোববারের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। আর এতে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯ জনে।
এমএইচএম/এনএফ/এমএস