টিভিতে মাধ্যমিক ও কারিগরির যেসব ক্লাস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম সম্প্রচার শুরু করা হয়েছে। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাধ্যমিক স্তরের পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে।

সোমবার দুটি ধাপে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের ১০টি ক্লাস করানো হবে। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষকদের ধারণ করা ভিডিও ক্লাস সম্প্রচারিত হবে।

এরপর শুরু হবে কারিগরির নবম-দশম স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস। দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হয়ে ৩টা ২৯ মিনিটে শেষ হবে। এ স্তরে মোট তিনটি ক্লাস সম্প্রচার করা হবে।

মাধ্যমিকের ক্লাসে যা থাকছে

আজ ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলবে বেলা ১১টা ৫ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের ক্লাস চলবে ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় বিষয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলবে ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত।

নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ের ক্লাস চলবে ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। দশম শ্রেণির গণিত ও ভূগোল বিষয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলবে ১টা ৪৫ মিনিট থেকে ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত।

অন্যদিকে কারিগরিতে নবম শ্রেণির জেনারেল ইলেকট্রনিক্স বিষয়ের ক্লাস দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত, নবম শ্রেণির রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং বিষয়ের ক্লাস ২টা ৫০ মিনিট থেকে ৩টা ৮ পর্যন্ত এবং দশম শ্রেণির অটোমোটিভ বিষয়ের ক্লাস বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে শুরু হয়ে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।

জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ প্রথম ধাপে টেলিভিশনে পাঠদানের সময়সূচি প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। করোনাভাইরাসের কারণে ছুটির সময়ের ঘাটতি পূরণে টেলিভিশনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতি এক সপ্তাহ পর পর নতুন ক্লাস রুটিন প্রকাশ করছে মাউশি।

শুরুতে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ডিং করে তা সম্প্রচার করা হলেও গত দুই সপ্তাহ থেকে তা বেলা ১১টা ৫ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সকালে প্রাথমিকের পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে।

দেখা গেছে, প্রতিটি ক্লাস ২০ মিনিট করে প্রচার করা হচ্ছে, তার সঙ্গে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জন্য হোমওয়ার্ক (বাসারকাজ) দেয়া হয়। পরদিন তা টেলিভিশনের স্ক্রিনে সঠিক উত্তরগুলো দেখানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের এসব বাসার কাজের খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাউশি।

পাশাপাশি টেলিভিশনে প্রচার হওয়া ক্লাসগুলো কিশোর বাতায়নে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময়ে তা দেখতে পারবে। সেখানে নানা ধরনের কুইজের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা খেলার ছলে শিখতে পারবে বলে জানা গেছে।

এমএইচএম/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।