করোনায় আক্রান্ত প্রাথমিকের ৩২৯ জন
করোনাভাইরাসে প্রাথমিক শিক্ষার ৩২৯ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন, এ পর্যন্ত ৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৪ জুন) নতুন করে আট জনের করোনা শনাক্ত হলেও এদিন মোট এক জন সুস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে করোনা আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিপিই’র তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাথমিকের ২৫৫ জন শিক্ষক, ৩৭ জন কর্মকর্তা, ২৩ জন কর্মচারী ও ১৪ জন শিক্ষার্থীর এ ভাইরাস শনান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। পর্যাক্রমে এ পর্যন্ত ৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষক, ৫ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ৩ ও ৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
দেখা গেছে, আক্রান্তকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রামে ৮৬ জন, খুলনায় ১৮ জন, বরিশালে ২০ জন, সিলেটে ৩৬ জন, রংপুরে ১৭ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন রয়েছেন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক জন মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। নিজ উদ্যোগেই নানাভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। নিম্ন বেতনের প্রাথমিক শিক্ষকরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এই শিক্ষকদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে তাদের কারো কারো খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের নানা ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কারো চিকিৎসকের পরামর্শ লাগলে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যেসব শিক্ষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত, তাদের বেশিরভাগই নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন কয়েকজন। তবে সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ কাজ শুরু করে ডিপিই। প্রতিদিন এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ২৪ ঘণ্টা পরপর ওয়েবসাইটে আপডেট করা হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রকৃত আক্রন্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। সারাদেশে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক শিক্ষক করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না, এ কারণে সঠিক সংখ্যাটাও জানা যাচ্ছে না। অনেকে ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন, সামাজিক হয়রানির ভয়ে অনেকে বাইরে যাচ্ছেন না।
এমএইচএম/এমএফ/পিআর