সরকারের হস্তক্ষেপে নর্দান মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন দাবি

রংপুরে অবস্থিত নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের ২৫০ শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়েছেন দাবি করে তারা মাইগ্রেশন চেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে মাইগ্রেশনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শাইরা জাহান সৌধ বলেন, ‘আমরা ১ম থেকে ৫ম বর্ষ পর্যন্ত এখানে অধ্যয়নরত প্রায় ২৫০জন দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী আজ চরমভাবে প্রতারণার শিকার। আমরা মাইগ্রেশনের আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি হচ্ছে- আমাদের এই ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ সরকারি হস্তক্ষেপে অনতিবিলম্বে অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর মেডিকেলে ভর্তির সময় আমাদের যেসব কাগজপত্র কলেজে দেয়া আছে, সেগুলো বিনাশর্তে আমাদের হাতে তুলে দেয়া।’
শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের কলেজের ২০১৪-১৫ সেশন হতে ২০১৯-২০ সেশন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর বিএমডিসি’র অনুমোদন নেই। ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তির পরে ২০১৬-১৭ সেশন হতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রিটের উপর ভিত্তি করে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কথা বললে আমাদের ভুয়া এবং বানোয়াট বিএমডিসির অনুমোদনপত্র দেখানো হয়।’
তারা বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই, যেখানে শিক্ষার্থী অনুপাতে বেড সংখ্যা হতে হয় ১:৫, সেখানে আমাদের হাসপাতালে হাতেগোনা ৫০ থেকে ৬০টির বেশি বেড নেই। পূর্ণাঙ্গ অপারেশন থিয়েটার নেই, কোনো আইসিইউ, সিসিইউ, এনআইসিইউ নেই। গত এক বছর যাবত আমাদের হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ আছে। হাসপাতালে কোনো রোগী নেই। পরীক্ষার জন্য ভাড়া করে রোগী নিয়ে আসা হয়, ভিজিটের সময় কর্তৃপক্ষ রোগী ভাড়া করে আনে এবং অধিকাংশই থাকে সাজানো রোগী। বিএমডিসির নির্দেশনা অনুসারে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। ক্লিনিক্যাল বিষয়ে কোনো স্থায়ী ডিপার্টমেন্টাল হেড, সিএ রেজিস্টার নেই। আমাদের নিজস্ব কোনো পরীক্ষার কেন্দ্র নেই। অন্যান্য চাহিদা সামগ্রী যেমন- আলাদা রিডিং রুম, ল্যাব, স্বয়ংসম্পূর্ণ লাইব্রেরি, পর্যাপ্ত মাইক্রোস্কোপ, এনাটমিক্যাল ও প্যাথলজিক্যাল স্লাইড, পূর্ণাঙ্গ ডিসকাশন রুম নেই। ছেলে ও মেয়েদের জন্য নিজস্ব হোস্টেল নেই।’
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, গত ১৭ দিন যাবত আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু বিএমডিসির চেয়ারম্যান মাইগ্রেশনের বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।’
এওয়াইএইচ/ইএ/এমএস