মেলার শেষ ছুটির দিনে সিসিমপুর দেখতে শিশুদের ভিড়

আগামী ১৭ মার্চ শেষ হচ্ছে এবারের অমর একুশে বইমেলা। ফলে আজই মেলার শেষ ছুটির দিন। এদিন শিশু প্রহরে শিশুদের নিয়ে সিসিমপুর দেখাতে ভিড় করছেন অভিভাবকরা। মেলায় সিসিমপুর শুরুর আগেই মঞ্চের আশপাশে শতাধিক শিশু ভিড় করে। এসময় বাচ্চাদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন অভিভাবকরাও।
শনিবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় অমর একুশে বইমেলার শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্ত্বরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, মেলায় অন্যান্য দিনে সকালের দিকে মানুষের উপস্থিতি কম থাকে। তবে ছুটির দিনে সকাল থেকে মেলা জমে ওঠে। এর প্রধান কারণ সকালে থাকে শিশুপ্রহর। এসময় শিশুদের নিয়ে মেলায় আসেন অভিভাবকরা। তবে মেলা চলাকালীন শেষ ছুটির দিন হওয়ার আজ বড়দের অনেকেও সকাল সকাল মেলায় এসেছেন।
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর থেকে আসা উম্মে হাসিনা বলেন, ‘মেয়ের স্কুল খুলে গেছে। তাই মেলায় আসা হয়নি। আজ শনিবার ছুটির দিন। মেলাও শেষের দিকে। ছুটির দিনে মেয়েকে নিয়ে এবার আজই প্রথম আসলাম মেলায়। একটু সকাল সকাল আসার কারণ মেয়েকে সিসিমপুরটা যাতে দেখাতে পারি।’
খুলনা থেকে চার বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে নিয়ে ঢাকায় ঘুরতে এসেছেন বাবা ফারুক হোসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন বইমেলায়। তবে সিসিমপুর দেখাতে পারেননি। ফলে আজ সকালেই চলে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘ছেলে টিভিতে সিসিমপুর দেখে। বইমেলা চলছে, এটা দেখাতে ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে আসলাম। ঢাকার দর্শনীয় অনেক কিছুই দেখাবো। তবে মেলায় সিসিমপুর দেখে ছেলে অনেক খুশি।’
সিসিমপুর দেখে বেজায় খুশি আবদার হাসান রাইয়ান। কেমন লাগছে জানতে চাইলে সে বলে, ‘সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, ইকলি, শিকুদের দেখেছি। খুব ভালো লাগছে। তারা আমাদের হায় দিয়েছে।
পাঁচ বছর বয়সী স্কেলা শারমিন করাইয়া বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। তারা নেচেছে, গেয়েছে। আমরাও নেচেছি। খুব মজা করেছি। এখন বই কিনবো।’
শিশুদের জন্য প্রতিবছর মেলায় রাখা হয় শিশুপ্রহর। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে বেলা ১১টাকা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ আয়োজন থাকে। মেলার শিশু চত্ত্বরে এ প্রহরে শিশুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের প্রদর্শনী থাকে।
আরএসএম/এএএইচ/এএসএম