শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আর ভোট দেয়া হলো না নায়িকা শিমুর

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করা অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ১৮টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটকে।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন শিমু। সে তালিকায় আছেন মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয় করেছেন রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানসহ অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিপরীতে।
এমন একজন পরিচিত ও জনপ্রিয় শিল্পী হয়েও শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়েছিলেন শিমু। কেন? সেই প্রশ্নে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো উত্তর মিলছে না কোথাও। নানা জনের নানা বক্তব্যে উঠে আসছে শিল্পী সমিতির নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
তবে তিনি আশাবাদী ছিলেন ভোটাধিকার ফিরে পাবার বিষয়ে। আন্দোলনও করেছেন রাস্তায় নেমে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্যদের যে আন্দোলন তাতে নেতৃত্বও দিয়েছেন শিমু।
সেই আন্দোলনের সাফল্য হয়তো এবারের নির্বাচনে ভোগ করলেও করতে পারেন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা। এরইমধ্যে মাননীয় আদালত ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার স্থগিত করা কেন অবৈধ নয় সেটা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। এই রুলের প্রেক্ষিতে আশার আলো দেখছেন বাদ পড়া শিল্পীরা। আনন্দিত ছিলেন শিমুও। তিনিও হয়তো আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবার নিজের পছন্দের প্যানেল ও প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
কিন্তু তা আর হলো না। ভোটের আগেই করুণ মৃত্যুর শিকার হয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন রাইমা ইসলাম শিমু।
এদিকে শিমুর করুণ মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। শিমুর খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
এলএ/জেআইএম