করোনাভাইরাস : গুজব ও জবরদস্তি রোগী শনাক্তে বাধা সৃষ্টি করবে
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, গুজব ও জবরদস্তি দুটোই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে বাধা সৃষ্টি করবে। আর এ কারণে তথ্য ও অবস্থান গোপন করবে সন্দেহজনক রোগীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় আইইডিসিআর মিলনায়তনে করোনা সংক্রমণ বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, দেশ-বিদেশের বরাত দিয়ে নানা গুজবের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে এর উদ্বেজনক প্রসার ঘটছে। এ ধরনের গুজবের জেরে সাতক্ষীরাতে একজন সন্দেহজনক রোগীর মায়ের দুঃখজনক মৃত্যু ঘটেছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো স্থানে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে এর ফলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এবং চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত কোনো কোনো যাত্রীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে প্রভাবিত হয়ে বেশকিছু স্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের প্রতি জবরদস্তি আচরণ করছে। আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. মীরজাদি সেব্রিনা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে সন্দেহজনক আক্রান্ত দুই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের নমুনাতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, চীনের উহান ফেরত ৩১২ জন যাত্রীর সবাই সুস্থ রয়েছেন। তাদেরকেকোয়ারেন্টাইন পরবর্তী আরও ১০ দিন ৩১২ জনকে সীমিত চলাচল ও নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআরএর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের প্রতি। তাদের কেউ কেউ হটলাইনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০৭ জন। সবমিলিয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৬৮ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৩৫৫ জন।
মঙ্গলবার চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশে করোনভাইরাসে আরও ৯৩ জন লোক মারা গেছে। করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৬৮ জনে।
এমইউ/এমএসএইচ/এমএস