‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করা না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে অধ্যাদেশ বাতিল ছাড়াও অন্যান্য কঠিন দাবি যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা।
Advertisement
রোববার (১ জুন) সচিবালয়ে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে সচিব স্যার (ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ) আমাদের সব বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর তার সঙ্গে যোগাযোগ করব, কথা বলবো। তিনি বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (৩১ মে) দেশে আসলে তার সঙ্গে কথা বলে উনি আমাদের একটা ফলাফল দেবেন। রোববারের মধ্যে আমাদের একটা পজিটিভ রেজাল্ট দেওয়ার কথা। এজন্য আমরা আজকে কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করে স্মারকলিপি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি।
‘তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর আমরা আমাদের সহায়তাকারী সেই সচিব স্যারের সঙ্গে বসবো। এরপর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
Advertisement
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সারাদেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীদের জন্য আমাদের মেসেজ হলো- আমরা আজকে বিকেলে যে কর্মসূচি দেব, আপনারা দেশব্যাপী সেই কর্মসূচি পালন করবেন।’
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমি একজন সচিবকে বলেছি, স্যার আমাদের ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। ঈদের ছুটির আগে আমাদের একটা ভালো খবর দেন। আমরা সবাই যেন হাসি মুখে, খুশি মনে ঈদ করতে যেতে পারি। আর যদি তা না হয় এই আন্দোলন এমন দুর্বার গতিতে চলবে যে আমরা বাধ্য হবো এই দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি এক করতে। এখন সেই দাবিগুলোর কথা বললাম না।’
তিনি বলেন, ‘এখানে যদি আমাদের নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়, আলহামদুলিল্লাহ আমরা তাদের স্যালুট দিয়ে ঘরে ফিরে যাব। আর যদি তা না করতে পারেন, তাহলে আমরা এই দাবির সঙ্গে আরও কঠিন কঠিন দাবি যুক্ত করে একযোগে আন্দোলন করবো ইনশাআল্লাহ।’
‘অনেক উপদেষ্টা মহোদয় বলেছেন এই অধ্যাদেশ করার বিষয়টি তাদের নলেজে নেই। যদি নলেজে না থাকে তাহলে গোপনে গোপনে কোন কোন ব্যক্তি কোন কোন কর্মকর্তা এ অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করেছেন, সেই সব কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে আমাদের সামনে তাদের নামগুলো প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা তাদের নাম খুঁজে বের করব, তাদের নাম ধরে ধরে আমরা সচিবালয়ে মিছিল করব’ বলেন কর্মচারী নেতা নুরুল ইসলাম।
Advertisement
আরএমএম/এমআরএম/এমএস