দেশজুড়ে

খুলনায় ঈদ ঘিরে মসলার চাহিদা বাড়লেও দাম নিয়ন্ত্রণে

খুলনায় ঈদ ঘিরে মসলার চাহিদা বাড়লেও দাম নিয়ন্ত্রণে

ঈদুল আজহা ঘিরে প্রতি বছর মসলার বাজারে চাহিদা বেড়ে যায়। এবার চাহিদা বাড়লেও খুলনার বাজারে মসলার দাম রয়েছে স্থিতিশীল। রোজার ঈদে দাম বাড়তি থাকলেও এবার পাইকারি বাজারে মসলার দাম অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। তবে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বেশি রয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

Advertisement

রোববার (১ জুন) সকালে খুলনার বড় বাজার, গল্লামারি বাজার, খালিশপুর ও ময়লাপোতা বাজার ঘুরে এমনটা দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৪৩০০-৪৭০০, জিরা ৫০০-৬০০ টাকা, দারুচিনি ৪৮০-৫৫০ টাকা, কিচমিচ ৫০০-৬০০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা কেজি, রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে মসলার দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা কমবেশি দেখা গেছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কিছুটা বেড়েছে। এজন্য পূর্বের তুলনায় প্রায় সব মসলার দাম কিছুটা কমেছে। মসলা মূলত আমদানি করা হয়। অনেক মসলা আমদানি করা হয় বিধায় সতর্কতার সঙ্গে মজুদও করতে হয়। বৈশ্বিক বাজারের পরিবর্তন মূল্যবৃদ্ধিতে অনেকটা প্রভাব ফেলে। কিন্তু সে তুলনায় মসলার দাম এবার অনেকটা কম।

Advertisement

ক্রেতারা বলছেন, দাম স্থিতিশীল থাকলেও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম আরও কম হওয়া দরকার। ঈদের সময় মসলা বিক্রি বেড়ে যায়। সে সুযোগে খুচরা পর্যায়ে অনেকেই দাম বেশি রাখেন। ছোট পরিবারে মসলা এক সঙ্গে অনেক প্রয়োজন হয় না, এজন্য ছোট পরিবারের সদস্যরা খুচরা বাজারের ওপরই নির্ভরশীল। পাইকারি কিংবা খুচরা পর্যায়ে আরও দাম কমলে ভালো হয়।

বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বাবু বলেন, মসলার দাম রোজার ঈদের পর অনেকটা কমেছে। পরিবহন, প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের খরচের জন্য দাম খুচরা পর্যায়ে মসলার দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেশি হতে পারে। তবে আমরা অতিরিক্ত দাম রাখছি না।

গল্লামারি বাজারের ঝিলিক স্টোরের একরাম মনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মসলা ক্রয় করে খুচরা বিক্রি করি। আমরা সরাসরি মসলা আমদানি করি না। সেজন্য সীমিত লাভে খুচরা বাজারে মসলা বিক্রি করি।

রুপসা বাজারের রুপসা স্টোরের স্বত্বাধিকারী সালাম গাজী বলেন, বাজারে আমদানি করা বিভিন্ন দেশের মসলা পাওয়া যায়। পাইকারি বাজার থেকে সব মানের অল্প অল্প করে রাখি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করি। মানভেদে এলাচ, দারুচিনি এবং জিরার দাম কমবেশি রয়েছে। তবে খুচরা বাজারে মসলা বিক্রি করে আহামরি লাভ হয় না।

Advertisement

বড় বাজারে আসা ক্রেতা শাহিদুল ইসলাম বলেন, মসলার দাম গত একমাস ধরে একই আছে। দাম কমেনি, আবার বৃদ্ধিও পায়নি। তবে মসলা আমদানিতে সরকার খরচ কমালে খুচরা বাজারে হয়ত মসলার দাম আরও কমবে। আর নিয়মিত বাজার মনিটরিং হলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

খালিশপুর বাজারে আসা পারভেজ আহমেদ বলেন, মসলাসহ টুকিটাকি জিনিস লাগলে তা খুচরা বাজার থেকেই বেশি কেনা হয়। এজন্য দাম কমবেশির তফাত তেমন একটা বোঝা যায় না। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম আগের মতোই আছে। কিন্তু পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেড়েছে।

গল্লামারি বাজারে আসা শিরিনা খাতুন বলেন, আদা, রসুনের দাম অনেক। এগুলোর দাম একটু কমলে ভালো হয়। আর ঘ্রান জাতীয় মসলা দাম অনেক হওয়ায় কম পরিমাণে কিনেছি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলার সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, মসলার বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। দাম বেশি রাখার কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরিফুর রহমান/এমএন/এমএস