সরকারি কর্মচারীদের ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবি উপদেষ্টা পরিষদকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
Advertisement
তিনি বলেন, আপনারা আইনটির অপব্যবহারের ভয় পাচ্ছেন, প্রয়োগ তো হয়নি। মিস ইউজের ভয় বিবেচনায় নিলাম। আইনটি আপনারা একভাবে দেখছেন, সরকার অন্যভাবে দেখেছে। আপনাদের কথাগুলো বিবেচনা করা হবে।
রোববার (১ জুন) সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীদের স্মারকলিপি গ্রহণের পর উপদেষ্টা এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘ভেতর থেকে এমন কে এই কালো আইন করতে উৎসাহিত করলো- যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এ আইন না করলে কী ক্ষতি হতো আর এটা প্রয়োগ করলে কী ক্ষতি হবে- সেটা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। এই আইনের ফলে সরকারি কর্মচারীদের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে।’
Advertisement
ঐক্য ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনার মতো উপদেষ্টা থাকার পরও এই আইন পাস হয়েছে, আগামী ৪০ বছর পরেও মানুষ বলবে এটা কালো আইন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আইন প্রয়োগ করবে আর ভোগ করবো আমরা। আমাদের দাস হিসেবে রূপান্তরের জন্য এটা করা হয়েছে। আমরা আইনটি সম্পূর্ণ বাতিল চাই।’
ঐক্য পরিষদের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। এই আইন করে সব কর্মচারীকে আঘাত দেওয়া হয়েছে।’
কর্মচারীদের বক্তব্য শোনার পর পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না, সম্মিলিতভাবে উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি আপনাদের দাবিগুলো জানিয়ে দেবো।’
তিনি বলেন, ‘কথা বলার চ্যানেলটা খোলা থাকুক। আপনারা আইনটির অপব্যবহারের ভয় পাচ্ছেন, প্রয়োগ তো হয়নি। মিস ইউজের ভয় বিবেচনায় নিলাম। আইনটি আপনারা একভাবে দেখছেন, সরকার অন্যভাবে দেখেছে। আপনাদের কথাগুলো বিবেচনা করা হবে। আমরা বৃহত্তর পরিসরের আলোচনা করবো। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয় আবারও কথা বলবো।’
Advertisement
আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস