কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন আহসানুল ইসলাম। একদল শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছেছেন তিনি, যাবেন গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা। কয়েকজন শিক্ষার্থীর ব্যাগে রয়েছে কোরবানি মাংসও।
Advertisement
কোরবানি ঈদের তৃতীয় দিন যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ থেকে তাদের মতো অনেকেই রাজধানী ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। আবার ঈদ করে কেউ কেউ স্বজনদের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছেন।
সোমবার (৯ জুন) ভোর থেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বরিশাল, খুলনা, বেনাপোল, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও রাজবাড়ীগামী যাত্রীদের ভিড় বেশি।
আরও পড়ুন:
Advertisement
সকালে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগের কয়েকদিনের মতো রাজধানী ছেড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষ গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন। সে তুলনায় রাজধানী ঢাকামুখী যাত্রী তেমন একটা দেখা যায়নি।
যানবাহন সংকটে ভোগান্তি তো আছেই, ভাড়াও বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটের কয়েকটি বাস সার্ভিস দিচ্ছে ঢাকা-মাওয়া রুটে। তারা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ভাড়া হাঁকছে। পাঁচ্চর, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর যেতে ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে জনপ্রতি।
বরিশাল, খুলনায় চলাচল করে ইলিশ পরিবহন ও সেতু ডিলাক্স পরিবহন। আগে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় টিকিট কিনতে হয়েছিল জানিয়ে যাত্রীরা বলছেন, এখন একটু ভাড়া কমেছে। তাও ৭০০ টাকার নিচে নিচ্ছে না কেউ।
শরীয়তপুরের যাত্রী সাজেদুল জাগো নিউজকে বলেন, ভাড়া কমবেশি যাই হোক, গাড়িই তো ঠিকমতো পাচ্ছি না।
Advertisement
গাড়ি সংকট ও ভাড়ার বিষয়ে আপন বিকাশ পরিবহনের ম্যানেজার মো.জাফর মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের আগের দিনসহ বেশ কয়েকদিন ব্যাপক যাত্রী চাপ ছিল। তখন অনেকেই ভাড়া বেশি নিয়েছে। আমরা আগের মতোই কম ভাড়া নিচ্ছি। আমাদের বিরুদ্ধে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ নেই।
তিনি বলেন, ঈদের আগের শুক্রবার (৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের ব্যাপক চাপ ছিল। কিন্তু, সেদিন বিকেল থেকে ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত যাত্রী কম ছিল। ঈদের পরের দিন ভোর থেকে আজকেও আবার যাত্রী চাপ অনেক বেড়েছে। অনেক পরিবহনের চালক ছুটিতে চলে গেছে। কেউ কেউ হয়তো গাড়ি নিয়ে বের হয়নি, তাই সংকট।
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম