জাতীয়

ঢাকা উত্তরে পশু কোরবানি হয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি

ঢাকা উত্তরে পশু কোরবানি হয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এবার এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি পশু কোরবানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

Advertisement

সোমবার (৯ জুন) গুলশানে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন কোরবানির ১৩ হাজার ১৭৪ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি

প্রশাসক এজাজ বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনে এ বছর গরু, ছাগল, মহিষ কোরবানি হয়েছে। কোনো উট কোরবানি হয়নি। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি পশু কোরবানি হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ বিকেলেও কেউ কেউ কোরবানি দেবেন। এ কারণে আমাদের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সমাপ্ত করছি না। আগামীকাল ও পরশু দিনও কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আমাদের কার্যক্রম চলবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কোরবানি হওয়া পশুগুলোর মধ্যে গরু ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৭টি এবং ছাগল ১ লাখ ৫৪৬টি। এছাড়া মহিষ কোরবানি হয়েছে ১ হাজার ৭৬২টি। আর ভেড়া ৪ হাজার ৫৭টি কোরবানি হয়েছে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পশু কোরবানি কম হয়েছে। তবে বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে।

গত বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কত পশু কোরবানি হয়েছিল? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত বছরের তথ্য এখন আমার কাছে নেই।

বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা প্রথম দিন অনুমান করেছিলাম এবার প্রায় ২০ হাজার টন ময়লা হবে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত আমরা ২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করেছি।

Advertisement

তিনি জানান, ঈদের দিন ১০ হাজার ৬১৪ টন, ঈদের পর দিন ৭ হাজার ৩৫৩ টন এবং আজ সোমবার ২ হাজার ৯২২ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিল্ডে ডাম্পিং করেছি। আমরা দেখেছি আমরা যে অনুমান করেছিলাম, সেটা ফুলফিল করেছি। তবে এখনও বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। আজ বিকালেও হয় তো কিছু কোরবানি হবে, সেখানেও বর্জ্য উৎপন্ন হবে। সেগুলোও আমরা সংগ্রহ করবো।

এজাজ বলেন, অফিসিয়ালি আমরা ভেবেছিলাম আজকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সমাপ্তি ঘোষণা করবো। কিন্তু আমরা সমাপ্ত ঘোষণা না করে এটা কন্টিনিউ করবো। কারণ হচ্ছে আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, যে পার্টিগুলোর মধ্যে মাংস বানানো হয়, সেগুলো অনেকেই রেখে দেন। এক-দুইদিন পর ডাস্টবিনে ফেলেন। সে ক্ষত্রে আগামীকাল ও পরশুদিনও আমরা কোরবানির বর্জ্য বাড়ির সামনে পাবো বলে আশা করছি। সেক্ষেত্রে আমদের পরিচ্ছন্ন কর্যক্রম চলমান থাকবে।

এমএএস/এসএনআর/এমএস