দেশজুড়ে

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মাকে শেষ বিদায় দিলেন সাংবাদিক ফারজানা রুপা

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মাকে শেষ বিদায় দিলেন সাংবাদিক ফারজানা রুপা

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে দাফনের আগে শেষ বারের মতো মায়ের মুখ দেখেছেন সাংবাদিক ফারজানা রুপা। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী শাকিল আহমেদ। পরে তার মায়ের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Advertisement

বুধবার (১১ জুন) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া দাড়িয়াকান্দা গ্রামে মরদেহটি দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তার আগে মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে ময়মনসিংহ নগরীর সেহরা ধোপাখলা এলাকার বাসভবনে ইন্তেকাল করেন ফারজানা রুপার মা হোসনে আরা বেগম। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক ছেলে ও পাঁচ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

হোসনে আরা বেগমের মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে ফারজানা রুপা ও তার স্বামী শাকিল আহমেদকে প্যারোলে মুক্তির জন্য ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফারজানা রুপা ও তার স্বামী শাকিল আহমেদকে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা কারাগার থেকে বের হন। এরপর রাত পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া দাড়িয়াকান্দা গ্রামে এসে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখেন সাংবাদিক ফারজানা রুপা। সঙ্গে ছিলেন স্বামী শাকিল আহমেদ। এসময় সাংবাদিক দম্পতি ও স্বজনদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফারজানা রুপা। তাকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় স্বামী শাকিল আহমেদকে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও তার স্বামী শাকিল আহমেদকে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর আবারও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করতে পেরেছেন তারা।

এমডিকেএম/এমআইএইচএস

Advertisement