আন্তর্জাতিক

ইরানের হামলার আশঙ্কায় ৩০টি যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের হামলার আশঙ্কায় ৩০টি যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

গত তিন দিনে অন্তত ৩০টি মার্কিন সামরিক বিমান বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে ইউরোপে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিমান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ট্যাংকার বিমান, যা যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানগুলোতে জ্বালানি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়।

Advertisement

ফ্লাইটট্রেডার২৪ এর তথ্যমতে, এসব বিমানের অন্তত সাতটি কেসি-১৩৫ মডেলের, যেগুলো স্পেন, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে নেওয়া হয়েছে।

এসব সামরিক বিমান এমন সময়ে সরানো হলো যখন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে। গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এসব সামরিক বিমান চলাচল সরাসরি ওই সংঘাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এক সামরিক বিশ্লেষক বিবিসি ভেরিফাইকে বলেছেন, এই ধরনের ট্যাংকার বিমান চলাচল অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা।

Advertisement

আরও পড়ুনআমরা জানি খামেনি কোথায়, তবে এখনই তাকে হত্যা নয়: ট্রাম্প গোয়েন্দা মূল্যায়নের ‘ধার ধারেন না’ ট্রাম্প, নেতানিয়াহুতেই আস্থা 

রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, এই মোতায়েন ব্যাপকভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অঞ্চলটিতে তীব্র সামরিক অভিযান সহায়তা করতে বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে।

তবে আয়ারল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক প্রধান ভাইস-অ্যাডমিরাল মার্ক মেলেট মন্তব্য করেছেন, এসব সামরিক গতিবিধি এক বৃহত্তর কৌশলগত অস্পষ্টতা নীতির অংশ হতে পারে। যার মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ছাড় দিতে ইঙ্গিত দেওয়া হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে এফ-১৬, এফ-২২ এবং এফ-৩৫ মডেলের উন্নত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বলে মঙ্গলবার (১৭ জুন) রয়টার্সকে জানিয়েছেন তিনজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। ইউরোপে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাঠানো ট্যাংকার বিমানগুলো এসব যুদ্ধবিমানে আকাশে জ্বালানি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অভিযানে (যুদ্ধে) হস্তক্ষেপ করতে পারে। তিনি লেখেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Advertisement

কেএসআর/