কুরআন মজিদে চুমু খাওয়া জায়েজ। অনেক আলেম এটাকে মুস্তাহাবও বলেছেন। এতে আল্লাহ তাআলার কালামের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশ পায়। অনেকে আজকাল বলে থাকেন, কোরআনে চুমু খাওয়া ঠিক নয়, এটা বিদআত—তাদের কথা ঠিক নয়।
Advertisement
বরং কোরআনে চুমু খাওয়া মহান আল্লাহ, তার কালাম ও তার রাসুলের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার প্রমাণ। একজন মুমিন হিসেবে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হলো আল্লাহ ও তার কালামকে ভালোবাসা, সম্মান করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ: ৩২)
Advertisement
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি এটা যাচাই করতে চায় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসে কিনা, সে যেন কোরআনের দিকে দৃষ্টি দেয়। যদি সে কোরআনকে ভালোবাসে, তবে সে আল্লাহ ও তার রাসুলকেও ভালোবাসে। (আল-মু’জামুল কাবির: ৮৬৫৭)
আরেক বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোরআনকে ভালোবাসে ও কোরআনকে পছন্দ করে, সে কল্যাণের মধ্যে রয়েছে। (আল-মু’জামুল কাবির: ৮৬৫৬)
তবে যেহেতু কোরআনের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে কোরআনে চুমু খাওয়ার কোনো নির্দেশনা কোরআন-হাদিসে পাওয়া যায় না, তাই এটাকে শরিয়তের নির্দেশ মনে করা যাবে না। কোরআনে চুমু খাওয়াকে সুন্নতও মনে করা যাবে না। যেহেতু নবিজি (সা.) কখনও কোরআনে চুমু খেয়েছেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন কিছু পাওয়া যায় না।
ওএফএফ/এএসএম
Advertisement