‘এখন জীবনের শেষ সময়। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি বেশ কয়েক বছর আগে। তাই এবার নিয়ত করলাম, সস্ত্রীক হজে যাব। নিয়ত অনুযায়ী হজের খরচসহ সব কিছুর ব্যবস্থা হয়েছে। পরে আল্লাহর রহমতে সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছি। কিন্তু মনটা এখনো মক্কা-মদিনা পড়ে রয়েছে।’
Advertisement
বুধবার (১৮ জুন) হজ থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন কুমিল্লার ফজলুল হক।
হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে হজ ব্যবস্থাপনার অনেক অনিয়মের কথা শুনেছি। কিন্তু এবার তার কিছুই চোখে পড়েনি। বাংলাদেশ ও সৌদি সরকার খুবই সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনা করেছেন। মোয়াল্লেমও কথা অনুযায়ী হাজিদের সেবা নিশ্চিত করেছেন। এভাবে যেন প্রতি বছর হজ ব্যবস্থাপনা করা হয়, সরকারের কাছে এ প্রত্যাশা করি।
ফজলুল হকের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, পাশেই উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী হাসিনা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, হজের সবচেয়ে বড় প্রশান্তির জায়গা কাবা শরিফ ও মসজিদে নববী। হজে গরমে যতো কষ্ট হয়েছে, এ দুইটা জায়গায় গেলে অন্তরটা ঠান্ডা লাগে। এখনো চোখ বন্ধ করলে কাবা শরিফ ও মসজিদে নববীর দৃশ্য ভেসে ওঠে।
Advertisement
১১ হজের একটা দলের সঙ্গে সৌদি আরবে হজে গেছেন নওগাঁর বয়োজ্যেষ্ঠ মাহাদি হাসান। সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পারায় বেশ খুশি তিনি।
মাহাদি হাসান বলেন, প্রিয়জনদের ছেড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে হজযাত্রায় ছিলাম। আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়া আর পবিত্র কাবা তাওয়াফে ক্ষমার ফরিয়াদই ছিল এ যাত্রার উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, তার স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এখন তার দুই ছেলে পৃথক দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তারা তাকে হজে পাঠানোর সব খরচ দিয়েছেন। হজে গিয়ে ছেলেদের জন্য প্রাণখুলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন তিনি।
হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাহাদি হাসান বলেন, নওগাঁর যারা আগে হজে গেছেন, তাদের মুখে বাংলাদেশ সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু এবার দেখি ভিন্ন চিত্র। সবার মুখে একই কথা এত সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা আগে কেউ দেখেনি। এক কথায় সৌদির গরম ছাড়া হজে আর কোনো কষ্ট ছিল না।
Advertisement
মাদারীপুর সদরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। ১০ জনের একটা দলে তিনি হজে গিয়েছিলেন। আজ শাহজালাল বিমানবন্দরে ফেরার পর ওই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এক মাসের বেশি সময় তিনি সৌদিতে ছিলেন। দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই মসজিদুর হারাম এবং মসজিদুল নববীতে পড়ার চেষ্টা করেছি। প্রতি নামাজেই নিজ পরিবার ও দেশের মানুষ এবং ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য দোয়া করেছি।
এমএমএ/এমআরএম/এএসএম