ইরানের একটি সুরক্ষিত এবং গোপন পারমাণবিক স্থাপনা হচ্ছে ফরদো পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র। এটি রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত। এটি ইরানের দুটি প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একটি, যা দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
এই স্থাপনাটি মাটির প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার গভীরে অবস্থিত এবং ইরান ও রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত। এটা এতটাই গভীরে যে ইসরায়েলের বোমা দিয়ে এটি ধ্বংস করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা আছে, যা এতো গভীরে পৌঁছাতে পারে।
ফরদো ইরানের নাতাঞ্জ কেন্দ্রের চেয়েও অনেক গভীরে অবস্থিত। ইসরায়েল নাতাঞ্জ স্থাপনায় এরই মধ্যে হামলা চালিয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য ফাঁসের পর ইরান এই গোপন স্থাপনাটির অস্তিত্ব স্বীকার করে। ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় দুটি প্রধান সুড়ঙ্গ রয়েছে, যেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সেন্ট্রিফিউজ বসানো আছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে, এগুলো পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
Advertisement
২০২৩ সালের মার্চে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানায়, ইরানের একটি স্থানে এমন ইউরেনিয়াম কণা পাওয়া গেছে, যা প্রায় ৮৩ দশমিক সাত শতাংশ পর্যন্ত পরিশোধিত এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মানের কাছাকাছি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করাই হলো ইরানে হামলার মূল উদ্দেশ্য। তিনি ইরান ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘ইসরায়েলের জন্য হুমকিস্বরূপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আর এই হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হলো ফরদো, জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ইসরায়েলের মার্কিন দূত ইয়েখিয়েল লেইটার ফক্স নিউজকে বলেছেন, এই পুরো অভিযানের লক্ষ্য হলো ফরদো নিশ্চিহ্ন করা।
টিটিএন
Advertisement