মাদকসেবী ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মা-বাবা। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুজন মিলে হত্যা করেন ছেলেকে। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেন সড়কের পাশের ড্রেনে।
Advertisement
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঘটেছে এমন ঘটনা। উপজেলার পূর্ব শিহাচর লালখাঁ এলাকায় সড়কের পাশের ড্রেন থেকে জনি সরকার (২৫) নামে ওই যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ এসব তথ্য তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) হাসিনুজ্জামান বলেন, ফতুল্লার লালখাঁ শিহাচর এলাকার দুলাল পুলিশের বাড়িতে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন করুনা সরকার। তিনি খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। তার ছেলে জনি সরকার মাদকাসক্ত ও বখাটে। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই তার মা-বাবাকে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার (১৬ জুন) রাতেও জনি তার মা-বাবাকে মারধর করেন। এরপর রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে জনির মাথায় ও মুখে তার বাবা করুনা সরকার আঘাত করে। এতে জনি নিথর হয়ে পড়লে মায়ের সহযোগিতায় প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাতেই সড়কের পাশে ড্রেনে ফেলে দেন করুনা সরকার। পরদিন মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে পুলিশ ড্রেন থেকে বস্তাবন্দি জনির মরদেহ উদ্ধার করেন।
Advertisement
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বাবা করুনা সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের রহস্য। পরে মা-বাবা দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও এসআই শামীম উপস্থিত ছিলেন।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমএন/জেআইএম
Advertisement