বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বেড়েছে ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, রিজার্ভ ও বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক ঋণগ্রহণ বেড়েছে।
Advertisement
জানুয়ারি শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা এপ্রিল শেষে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২৫ বিলিয়নে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বায়ার্স ক্রেডিট—তিন মাসে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলার।
ব্যাংকাররা বলছেন, ডলারে সুদ কম হওয়ায় এবং অর্থনৈতিক সূচকের কিছুটা উন্নতি থাকায় অনেকেই বিদেশি ঋণের দিকে ঝুঁকছেন। মূলত চলতি হিসাবের ভারসাম্য উন্নত হওয়া, বিনিময় হার কিছুটা স্থিতিশীল থাকা এবং মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কে নেমে আসায় ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশি ঋণের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি ডলারের সুদের হার টাকার তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম থাকাও এ প্রবণতা বাড়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
সম্প্রতি নতুন ২০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদনের পাশাপাশি প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ক্রিনিং কমিটি। তবে আগের বছর বিনিময় হারের অস্থিরতায় ঋণ পরিশোধের প্রবণতা বাড়ায় ঋণের পরিমাণ কমে গিয়েছিল ১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে। চলতি বছর তা আবার বাড়তির দিকে।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সামগ্রিক অর্থনৈতিক সূচকে কিছুটা উন্নতি এসেছে। পাশাপাশি তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে, ফলে বিদেশি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশি গ্রাহকদের ঋণ দিতে এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে।
গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বৈদেশিক ঋণ ও সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট যাচাই কমিটি নতুন ২০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। একই সভায় কমিটি ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠন এবং অতীতের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আরও ৩১৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণে ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।
ইএআর/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement