ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Advertisement
আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উপদেষ্টা ভোটের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার ক্ষেত্রে বিদেশি অর্থায়ন গ্রহণযোগ্য হবে না। সব প্রার্থীর এক প্ল্যাটফর্মে ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে। আচরণবিধি মানতে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার বিধান থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সপ্তম কমিশন সভায় আচরণবিধি-২০২৫ এর চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশও আমলে নিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন
Advertisement
খসড়া বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, ভোটের প্রচারে পোস্টার ব্যবহার বন্ধ থাকবে, আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে এবং পরিবেশবান্ধব কিছু নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এদিন বেলা সোয়া ১১টা থেকে তিনঘণ্টাব্যাপী এ কমিশন সভা হয়।
কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, খসড়া আচরণবিধি আজ কমিশন অনুমোদন দিয়েছে। এর কয়েকটি বিষয় রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন ও ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেজন্য এ বিধিমালার খসড়া শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
২০০৮ সালে প্রণীত ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার আলোকে এবার আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি তদন্ত সাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান বহালই রয়েছে।
Advertisement
তবে প্রচারণায় উপদেষ্টাদের বিধিনিষেধ, বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা, পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, শব্দদূষণ রোধে ব্যবস্থা, এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে বিধিনিষেধ আরোপ, দলগুলোর কাছে অঙ্গীকারনামা নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
এমওএস/এমকেআর/জেআইএম