এফবিসিসিআই নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সভাপতি পদে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের প্রার্থী জাকির হোসেন নয়ন। তিনি বলেছেন, আমরা জাতীয় রাজনীতির বাইরে নই। কিন্তু ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনে রাজনৈতিক প্রভাব চলবে না- সেটি নিশ্চিত করাই হবে আমাদের দায়িত্ব।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক গিয়াস উদ্দিন খোকন, পরিষদের সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন, সদস্য বেলায়েত হোসেন, আনিসুর রহমান বাদশা এবং অন্য ব্যবসায়ী নেতারা।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, আমি একজন মাঝারি খাতের ব্যবসায়ী। আগে এ খাতের ব্যবসায়ীরা এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সাহসই পেতেন না। বিশেষ একটি জায়গা থেকে ওহি নাজিল হতো, আর তার ভিত্তিতেই সভাপতি নির্বাচন হতো। অনেক সময় দুর্বল চেম্বারের প্রতিনিধি হয়েও কেউ কেউ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন, যাদের কাছে রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য ছিল, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নয়। এবার আমরা এই সংস্কৃতি ভাঙতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে নয়ন তার প্যানেলের কিছু নির্বাচনী অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বছরের পর বছর অবহেলিত থেকেছেন। এবার সময় এসেছে তাদের প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়ার। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোও জরুরি। বর্তমানে দেশের ব্যবসায়ী সমাজে নারীদের অংশ মাত্র ১২ শতাংশ, এটা টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য যথেষ্ট নয়।
Advertisement
রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে নয়ন বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে শুধু পোশাক খাতে রপ্তানি কমবে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন খাতগুলোকে এগিয়ে আনতে হবে। পাট, চারকোল, মাছের আঁশসহ অন্যান্য খাতকে আধুনিকায়ন করে রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে হালাল পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হলে এ খাতেও জোর দিতে হবে। এতে নতুন বাজার সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি মূলধারার রপ্তানিও বাধাগ্রস্ত হবে না।
ইএআর/এএমএ/জেআইএম
Advertisement