দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে একমত হলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে একমত নয় বিএনপি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে এক্ষেত্রে বিদ্যমান ‘গোপন ভোট’ পদ্ধতি চায় দলটি।
Advertisement
পিআর পদ্ধতি বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে বোধহয় এখন আমাদের কনসিডার (বিবেচনা) করা ঠিক হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের টানা তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ধারণা এজন্য দিয়েছিলাম যে, দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ, ক্রীড়াবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন খাতে যাদের অবদান আছে, যাদের চিন্তাধারা ও অবদান জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে, আমরা তাদের প্রতিনিধিত্ব আকারে এখানে (দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদে) যুক্ত করার বিবেচনা করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা উচ্চকক্ষের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের কথা বলিনি। আমরা মনে করি পিআর পদ্ধতিটা এখানে সঠিক হবে না।
সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমানে সংসদ সদস্যদের পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বিএনপিও বিদ্যমান পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের গোপন ভোট পদ্ধতির পক্ষে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইলেকটোরাল পদ্ধতির বিষয়ের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। এর মধ্যে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্যদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার পক্ষে বেশি মতামত এসেছে। এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়নি। তবে সবগুলো রাজনৈতিক দল গোপন ভোটের পক্ষে একমত হলে এতে একমত বিএনপি।
Advertisement
আরও পড়ুন
ইলেকটোরাল ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে শর্ত জামায়াতেরঅন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলই গোপন ব্যালটের নির্বাচনের প্রস্তাবে একমত বলে সংলাপের পর ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন হলে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল ভোটের ভোটার ইউপি মেম্বার পর্যন্ত (৭০ হাজার) বর্ধিত করার বিষয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে।
একজন ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যদিও এতে দ্বিমত রয়েছে বিএনপির। দলটি বলছে, একজন ব্যক্তি টানা দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গ্যাপ দিয়ে পরেরবার আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে।
কেএইচ/এমকেআর/জেআইএম