এপ্রিল ২০২৪ থেকে এপ্রিল ২০২৫ সময়কালে দেশজুড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮১৮টি গাছ কাটা হয়েছে যা গতবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী কাটা ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৫টি গাছের তুলনায় প্রায় ৮৪ দশমিক ১ শতাংশ কম।
Advertisement
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) ২০২৪-২৫ সালের গাছ কাটা সংক্রান্ত মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সম্মেলনকক্ষে আরডিআরসি, পরিবেশবিষয়ক সংগঠন গ্রিন ভয়েস-এর সহযোগিতায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে গাছ কাটা (২০২৪-২০২৫)’ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় কাটা গাছের সংখ্যা ৪ হাজার ২৯৬টি, যার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে কাটা ধানমন্ডিতে ২ হাজার গাছ এবং ধানমন্ডি লেকে ৩০টি গাছ কাটা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে পান্থকুঞ্জ পার্কে ২ হাজার গাছ কাটা হয়েছে।
Advertisement
প্রতিবেদনটিতে অবৈধ গাছ কাটায় জড়িত নানা সংস্থার কথাও উঠে এসেছে, যেমন: বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি), শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কাঠ ব্যবসায়ী এবং কিছু বেসরকারি কোম্পানি। এ তথ্য দেশে বন সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার কাঠামোগত দুর্বলতাকে ইঙ্গিত করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছড়া আরডিআরসির প্রতিবেদনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। SUFAL প্রকল্পের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার: ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯০ একর, সোনাদিয়া দ্বীপে হস্তান্তরিত: ৯ হাজার ৪৬৭ একর, কক্সবাজারে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াধীন: ১২ হাজার একর উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য উখিয়ায় ১৫ একর, মৌলভীবাজারে ৩০ একরগাজীপুরে ৪-৬ একর জমি, চুনতি (লোহাগাড়া): ১.৫ একর উদ্ধার করা হয়েছে।
আরএএস/ইএ
Advertisement