পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
Advertisement
বুধবার (১৮ জুন) পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চর বলরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নিহতের চাচা খোয়াজ উদ্দিন চারজনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
নিহত ঝর্ণা খাতুন সদরের কদমতলা এলাকার মকশেদ আলী প্রামাণিকের মেয়ে। আর অভিযুক্তরা হলেন, নিহতের স্বামী হিরু প্রামাণিক, শ্বশুর শহীদ প্রামানিক, শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুন এবং ভাবি সোগাগী খাতিন।
Advertisement
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে চর বলরামপুর এলাকার হিরুক প্রামাণিকের বিয়ে হয়। দাম্পত্য ও সংসার জীবন ভালো চলতে থাকলেও বড় ভাই শাহীনের স্ত্রী সোহাগীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে ঝর্ণা খাতুনের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। ঘটনার দিন সকালে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে আবার কথা উঠলে ঝর্ণা খাতুনকে প্রহার করেন স্বামী হিরু। এতে যোগ দেন তার পরিবারের সদস্যরাও। একপর্যায়ে হত্যা শেষে ঝর্ণার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেন হিরু ও তার পরিবার।
নিহত ঝর্ণা খাতুনের ভাই রুবেল হোসেন বলেন, ভাবির সঙ্গে হিরুর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে। সবশেষ পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যা করেছে। এরপর থেকে তারা লাপাত্তা। ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
Advertisement
আলমগীর হোসাইন নাবিল/জেডএইচ/জিকেএস