রুওয়াইফি ইবনে সাবেত আল আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের ওপর দরুদ পড়বে এবং বলবে,
Advertisement
اللَّهُمَّ أَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনজিলহুল-মাকআদাল মুকাররাবা ইনদাকা ইয়াওমাল কিয়ামাহ।
হে আল্লাহ! তাকে (নবিজিকে) আপনি কেয়ামতের দিন আপনার কাছে মর্যাদাপূর্ণ স্থান দান করুন।
Advertisement
আমার সুপারিশ তার জন্য অনিবার্য হয়ে যাবে। (মুসনাদে আহমদ)
নবিজির (সা.) যে কোনো দরুদের সাথে দোয়াটি পড়া যেতে পারে। যেমন এভাবে পড়া যেতে পারে,
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَآلِ إِبْرَاهِيمَ اللَّهُمَّ أَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসূলিকা কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলি ইবরাহীমা আল্লাহুম্মা আনজিলহুল-মাকআদাল মুকাররাবা ইনদাকা ইয়াওমাল কিয়ামাহ।
Advertisement
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মাদের ওপর রহমত বর্ষণ করুন যেমন আপনি ইবারাহিমের ওপর রহমত বর্ষণ করেছেন। আপনি মুহাম্মাদ ও তার বংশধরদের বরকত দান করুন যেমন ইবরাহিম ও তার বংশধরদের বরকত দান করেছেন। হে আল্লাহ! তাকে আপনি কেয়ামতের দিন আপনার কাছে মর্যাদাপূর্ণ স্থান দান করুন।
জুমার দিন দরুদ পড়ার ফজিলতরাসুলের (সা.) জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া সব সময়ই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ কোরআনে নবিজির জন্য সালাত ও সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ নবির প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬)
অনেকগুলো হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার জন্য বেশি বেশি দরুদ পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বার্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুলের জন্য দরুদ পাঠকারী কেয়ামতের দিন তার কাছে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি) এ ছাড়া কিছু হাদিসে হাদিসে জুমার দিন বিশেষভাবে দরুদ পড়ার নির্দেশ এসেছে। আওস ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনই তার ওফাত হয়। এ দিনই দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং এ দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। তাই তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়। তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার কাছে পেশ করা হবে। আপনি তো (এক সময়) মৃত্যু বরণ করবেন, আপনার শরীর মাটির সাথে মিশে যাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা জমিনের জন্য নবিগণের শরীর গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন। (সুনানে নাসাঈ)
ওএফএফ/জিকেএস