তথ্যপ্রযুক্তি

ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ, কারা ব্যবহার করেন

ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ, কারা ব্যবহার করেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠিত একটি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হয় এই প্ল্যাটফর্মটি। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতোই এটি ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

যদিও ট্রুথ ডিজাইন করা হয়েছে অনেকটা এক্স বা আগের টুইটারের মতো। তবে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে বয়সসীমা বেধে দেওয়া আছে। ১৮ বছরের বেশি ব্যবহারকারী কেবল এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন।

প্ল্যাটফর্মটিতে বর্তমানে প্রায় ৬.৩ মিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী আছে। প্রধানত মার্কিন রক্ষণশীল ও ট্রাম্প-সমর্থক, গোষ্ঠী এবং সাংগঠনিক ব্যবহার, অপ্রচলিত বক্তব্য ও ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব প্রচারের জন্যই এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহৃত হয়।

ট্রুথ কীভাবে ব্যবহার করতে হয়?

অন্যান্য অ্যাপের মতোই অ্যান্ড্রয়েড/আইওএস অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইট truthsocial.com থেকে নাম, ই-মেইল, ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। ইউজারনেম, ছবি, বায়ো তৈরি করা যায়। ৫০০ অক্ষর পর্যন্ত টেক্সট, ছবি, লিংক আদানপ্রদান করা যায় ট্রুথ বাটনে ক্লিক করে।

Advertisement

অন্যান্যদের ট্রুথ শেয়ারে, লাইক, কমেন্ট ও রিপ্লাই দিতে পারবেন। এমনকি থিমভিত্তিক গ্রুপে যোগ দিয়ে সম্পর্কিত আলোচনা চালানো যায়।সম্প্রতি গ্রুপ ফিচার আপডেট হয়েছে নিরাপত্তা ও এক্সপ্লোরার সুবিধা নিয়ে।

প্ল্যাটফর্মটির প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি বেশ শক্তপোক্ত। অ্যাকাউন্ট পাবলিক/প্রাইভেট করার অপশন, ব্লক/মিউট/রিপোর্ট, টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ফিচার আছে। ২০২৪ সালে ‘ট্রুথ কয়েনস’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম-সংক্রান্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু হয়।

পছন্দমতো ব্যবহারকারী বা গ্রুপ ফলো করে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু ঘনিষ্ঠভাবে খুঁজে পাওয়া যায়। ট্রাম্প নিজে দিনে তিন হাজারেরও বেশি ট্রুথ পোস্ট করছেন এখন পর্যন্ত।

এখানে ‘স্বাধীন মত প্রকাশের’ প্রতিশ্রুতি, তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ কম; তবে অবৈধ বা কপিরাইট লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য আগ্রহ নির্দিষ্ট শ্রোতা এলাকায় বিজ্ঞাপন প্রদানের টুল-সম্পূর্ণ ডেটা অ্যানালাইটিক্স সহ। যদিও ফেসবুক বা টিকটকের মতো বড় নয়, কিন্তু রক্ষণশীল দলে জনমত তৈরি বা দৃঢ়করণে কাজে লাগছে।

Advertisement

তবে এই প্ল্যাটফর্মে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের পক্ষের পোস্টগুলোই করা হয়। ফলে ঘৃণা, ষড়যন্ত্রমূলক পোস্ট, মিথ্যাবাদের উপস্থিতি বেশি। এখানে তার পক্ষের রাজনিতিবিদরাই পোস্ট করেন।

ট্রাম্প মিডিয়া এখনো লাভবান হয়নি; বিনিয়োগকারীদের নির্ভরতার কারণে স্টক ‘মেমে স্টক’ হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া এই অ্যাপ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, জাপান, জার্মানি, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহার করা যায়। তবে বর্তমানে শুধু আমেরিকা এবং কানাডায় এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন হোয়াটসঅ্যাপে আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখবেন যেভাবে  জুমের যে সুবিধা পাবেন হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে 

কেএসকে/জিকেএস