সশস্ত্র বাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে তারা সাগর পাড়ি দিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে থাকে। মানবিক বিবেচনায় সেসময় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু গত প্রায় আট বছরেও নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি মিয়ানমার।
Advertisement
সম্প্রতি নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ এরই মধ্যে যে বিপুল রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে, বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে তাদের ভরণ-পোষণ দেওয়া কঠিন। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে দিন দিনই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তৎপরতা বাড়ছে। যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর চেয়ে ভালো বিকল্প আর হতে পারে না।
রোহিঙ্গাদের জন্য তৃতীয় কোনো দেশ খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ভালো জায়গা। মালয়েশিয়া মিয়ানমার থেকে খুব বেশি দূরে না। রোহিঙ্গাদের সেদেশ থেকে ফেরত আসতেও সুবিধা হবে
২০ জুন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের মানবাধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ, আন্তর্জাতিক সহায়তার ঘাটতি, দীর্ঘমেয়াদি সংকট নিরসনে প্রতিবন্ধকতা এবং টেকসই সমাধান নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক রায়হান আহমেদ।
Advertisement
জাগো নিউজ: বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা কেমন আছে। বিশ্বের কোন কোন দেশে বাংলাদেশি শরণার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য?
আসিফ মুনীর: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ছাড়া অন্য কোনো জনগোষ্ঠীর আশ্রয় শিবির নেই। অন্য দেশে বাংলাদেশের শরণার্থী আছে কি না এটা বলা খুব কঠিন। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে যতটুকু জানি, বাংলাদেশিদের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মানুষ যায়। তথ্যমতে, ইতালিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি অ্যাসাইলাম (আশ্রয়) চায়। এর পেছনে মূল কারণ রাজনৈতিক কিংবা আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। ইতালি ছাড়াও অন্য দেশগুলোতেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে অনেক বাংলাদেশি আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করছে। তারা সেখানে শরণার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছে।
ভারতও মুখে বলে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। কিন্তু তারাই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশইন করছে। ভালো ভূমিকা রেখেছে শুধু ওআইসি। তাই রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীন বা ভারতের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো বাংলাদেশকে অন্তত বেশি সমর্থন দেবে
জাগো নিউজ: বহু বাংলাদেশি অভিবাসন সুবিধা পেতে ইউরোপে শরণার্থী পরিচয়ে আবেদন করছেন। এ বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
Advertisement
আসিফ মুনীর: অনেকে অবৈধ পথে লাখ লাখ টাকা খরচ করে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে। সেখানে গিয়ে অবৈধ হিসেবেই বছরের পর বছর থাকছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত কিছু দেশ, যেমন- মিয়ানমার, সিরিয়া বা আফিগানিস্তান থেকে কেউ গেলেই অটোমেটিক্যালি তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। আমাদের অনেকে অবৈধ হিসেবে গিয়ে শরণার্থী পরিচয় দেয়, কিন্তু ইউরোপ জানে এরা অবৈধ অভিবাসী।
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গারা সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিচ্ছে: জাতিসংঘ মানবিক করিডোর নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে: নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফের রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা, নতুন করে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজারতবু ইউরোপের দেশ ইতালি ও ফ্রান্স আমাদের এই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে, যারা অবৈধ পথে এসব দেশে যাচ্ছে তারা শরণার্থী না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বহু মানুষ ইউরোপে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে আছে। বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে বহু বাংলাদেশি আছে, যারা শরণার্থী হিসেবে গিয়েছিল।
মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে তারা একটি পক্ষ অবলম্বন করছে। এতে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা মাঝখানে পড়ে যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র অংশটি যদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তাহলে তারা ক্রমে যুদ্ধে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে
জাগো নিউজ: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটকে কিভাবে দেখছেন? এর ঐতিহাসিক পটভূমি কী?
আসিফ মুনীর: স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে এসেছে। এ সংখ্যা বেড়ে যায় ২০১৭ সাল থেকে। বহু রোহিঙ্গা ৯০-এর দশক থেকে কক্সবাজারে বসতি গড়েছে। ২০১৬ পর্যন্ত তাদের সংখ্যা ছিল তিন লাখ। তখন পর্যন্ত অবস্থা জটিল ছিল না। তখনও আর্থ-সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়নি। মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ থেকে তাদের প্রতি স্থানীয়দের সহযোগিতা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি এসেছে। তখনই চাপটা বেড়েছে। এখন বোঝা যাচ্ছে, এটি (রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া) ছিল মিয়ানমারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।
রোহিঙ্গাদের প্রতি নিপীড়নের আরেকটি কারণ হলো, ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমারের জনগণ তাদের মেনে নিতে পারেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন বার্মা আক্রমণ করে, বার্মা তখন ব্রিটিশদের সমর্থন দেয়নি। তারা জাপানকে সমর্থন দিয়েছিল। অন্যদিকে, রোহিঙ্গারা ব্রিটিশদের সমর্থন করে। বার্মারা তখন রোহিঙ্গাদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ট্রিট করা শুরু করে।
এরপর থেকে ধীরে ধীরে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল থেকে শুরু করে তাদের ওপর নির্যাতন বাড়তে থাকে। রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করা এবং এ জাতিগোষ্ঠীটিকে নির্মূল করা মিয়ানমারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
জাগো নিউজ: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক যে চাপ সেটিকে যথেষ্ট মনে করেন কি না?
আসিফ মুনীর: বিগত সময়গুলোতে শুধু বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রো-অ্যাকটিভ ভূমিকা পালন করেছে। অন্য কোনো দেশ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেনি। অনেক দেশের মিয়ানমারে ব্যবসা আছে। চীনের কথা যদি বলি, তারা সবসময় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে। তারা সবার বন্ধু হিসেবে থাকার চেষ্টা করে। মিয়ানমার ইস্যুতে তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশের সঙ্গেই তাল দিচ্ছে। অথচ তারা নিরেপেক্ষ থাকছে না।
একইভাবে ভারতও। ভারত মুখে বলে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। কিন্তু তারাই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশইন করছে। ভালো ভূমিকা রেখেছে শুধু ওআইসি। তাই রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীন বা ভারতের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো বাংলাদেশকে অন্তত বেশি সমর্থন দেবে আশা করি।
জাগো নিউজ: রোহিঙ্গাদের অবস্থান দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের জন্য কেমন কৌশল প্রণয়ন করা উচিত বলে মনে করেন?
আসিফ মুনীর: রোহিঙ্গাদের জন্য তৃতীয় কোনো দেশ খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ভালো জায়গা। মালয়েশিয়া মিয়ানমার থেকে খুব বেশি দূরে না। রোহিঙ্গাদের সেদেশ থেকে ফেরত আসতেও সুবিধা হবে। আমাদের যেহেতু ১৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে, এটি আমাদের জন্য বড় সংকট। তাই থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার সঙ্গে নেগোশিয়েট করে যদি রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ সেসব দেশে পাঠানো যায় এটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষের জন্যই ভালো।
রোহিঙ্গাদের জন্য তৃতীয় দেশের বিষয়টি নিয়ে ভাবা খুব জরুরি। কারণ, প্রত্যাবাসনটা অনিশ্চিত। আবার দিন দিন কক্সবাজারে চাপ বাড়ছে। তাই আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে নেগোশিয়েট করে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যেতে পারে।
জাগো নিউজ: তৃতীয় দেশে গেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সেই দেশের কি কোনো সমস্যা হবে?
আসিফ মুনীর: না। রোহিঙ্গারা যখন তৃতীয় দেশে যাবে, তখন সে দেশগুলোও তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ দেবে। কারণ, তারাও তখন রোহিঙ্গা সংকটটা বুঝবে। ইউরোপের দরকার নেই। নিকটবর্তী মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া হলেও তারা মিয়ানমারের কাছাকাছি থাকছে। এ সংকট সমাধান হলে তারা জন্মভূমিতে ফেরত আসবে।
জাগো নিউজ: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কী কী শঙ্কা দেখছেন?
আসিফ মুনির: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা একবার যখন দেশ থেকে বের হয়, তাদের খুব কম সংখ্যকই নিজের দেশে আবার ফিরে যায়। চাপ দিয়ে আসলে প্রত্যাবাসন হয় না। মিয়ানমারকে ফিল করাতে হবে যে, রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক, আরাকান তাদের আবাসস্থল।
আরও পড়ুন
ভারতকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেওয়া বন্ধের আহ্বান চাকরি হারালেন রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার কাজে যুক্ত ১১৭৯ কর্মী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক রহমানকিন্তু রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর মতো কোনো অনুকূল পরিবেশ মিয়ানমারে তৈরি হচ্ছে না। সে পরিবেশে তৈরির সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। এখন যেহেতু সে দেশে যুদ্ধ অবস্থা চলছে কে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে সেটাও নিশ্চিত না। একটা সামরিক রাষ্ট্রের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমঝোতা হয় না। মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনকে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি করছে।
জাগো নিউজ: রোহিঙ্গা জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সেটি নতুন করে কী ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে?
আসিফ মুনীর: রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অবশ্যই একটি শঙ্কার বিষয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অনেকে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে তারা একটি পক্ষ অবলম্বন করছে। এতে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা মাঝখানে পড়ে যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র অংশটি যদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তাহলে তারা ক্রমে যুদ্ধে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। এরই মধ্যে ক্যাম্পগুলোতে তাদের আধিপত্য চলছে। সেখানে মাদক বেচাকেনাসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।
অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে কাজ করে। এখন স্থানীয় জনগণের মাঝে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটা বিতৃষ্ণা তৈরি হয়ে গেছে। কাজের সংকট দেখা দিচ্ছে। কক্সবাজারে এখন কম মূল্যে অধিক শ্রম দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। যা স্থানীয় শ্রমজীবীদের জীবিকা নির্বাহে প্রভাব ফেলছে।
জাগো নিউজ: আগামী দিনে রোহিঙ্গা সংকটের সম্ভাব্য চিত্র কী?
আসিফ মুনীর: রোহিঙ্গারা যেভাবে মাদক তথা ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়াচ্ছে, সেটিকে প্রথমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ ও তাদের অস্ত্র বেচাকেনাও বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের জন্য সংকট আরও বাড়বে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য দিন দিন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন কমছে। যুক্তরাষ্ট্র তহবিল কমিয়ে দিচ্ছে। এটি গিয়ার আপ করতে হবে। প্রতি বছর অর্থায়নের অনেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
আরএএস/এমকেআর/জিকেএস