ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলের সরকারব্যবস্থার রীতি পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের রীতি পরিবর্তনই রাষ্ট্র সংস্কার। তার ফ্যাসিবাদ তন্ত্রের যাঁতাকলে আমরা পিষ্ট হয়েছি।
Advertisement
শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশক পদার্পণ উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, জুলাই আন্দোলনে সবাই ভূমিকা রেখেছে। কোনো দলের কাছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রীভূত ছিল না। ২০২৪ ও ২০১৮ সালের আন্দোলনে সবস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ছিল। এবারের গণঅভ্যুত্থান কোনো দলের কাছে কেন্দ্রীভূত ছিল না। সবস্তরের মানুষ এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই ১০ মাসে এখনো গণমাধ্যম সংস্কার হয়নি। গণমাধ্যমের তোষামোদির কারণেই হাসিনা স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিলেন। ফ্যাসিবাদী গণমাধ্যম এখনো বহাল তবিয়তে।
Advertisement
ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, মেধার ভিত্তিতে জ্ঞান চর্চার প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সেই নোংরা রাজনীতি এখন পরিহার করতে হবে। ছাত্র রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। জবির গেটে এক হিন্দু ব্যক্তিকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের হত্যার রাজনীতি যুগ যুগ মানুষ স্মরণে রাখবে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একতার মতোই নতুন বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে।
জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
এছাড়া আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম।
Advertisement
তৌফিক হোসেন/এমএএইচ/এএসএম