ময়মনসিংহের তারাকান্দায় যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ আলম (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত মোহাম্মদ আলম ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের শুইলাম বুধবারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রথমে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছাড়াও আরও তিন যাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর অ্যাম্বুল্যান্সের হেলপারসহ আরেকজনকে নিয়ে আসা হলে তাদেরকেও ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমান আহত অবস্থায় পাঁচজন সার্জারি ও অর্থোপডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান বলেন, প্রথমে আহত চারজনকে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠিয়েছে জানতে পারলেও পরে ছয় জনের কাথা জেনেছি। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ঘটনাস্থলে নিহত দুইজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, অ্যাম্বুল্যান্সটি পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। গাড়িতে কোনো রোগী ছিল না। দুর্ঘটনার পর পরই চালক পালিয়ে যায়। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে বিকেলে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী এক নারী ও এক শিশু ছেলে নিহত হয়। এসময় চালক ছাড়াও আরও তিন যাত্রী আহত হন। এছাড়া আহত হয় অ্যাম্বুল্যান্সের হেলপারসহ আরও একজন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
Advertisement
কামরুজ্জামান মিন্টু/এএইচ/এএসএম