কোনো মজলিসে গেলে, কারো বাড়িতে গেলে বা কারো সাথে দেখা হলে সুন্নত হলো ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা, একইভাবে বিদায় নেওয়ার সময়ও ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা সুন্নত।
Advertisement
আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মজলিসে পৌঁছবে তখন যেন সে সালাম করে। এরপর যদি তার সেখানে বসতে ইচ্ছে হয় তবে বসবে। পরে যখন উঠে দাঁড়াবে তখনও সে যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম পরবর্তী সালামের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। (অর্থাৎ মজলিসে প্রবেশের সময় এবং বের হওয়ার সময় উভয় সময়ে সালাম দেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ।) (সুনানে তিরমিজি: ২৭০৬)
সুতরাং কারো সাথে দেখা হলে যেমন সালাম দেওয়া সুন্নত, বিদায় নেওয়ার সময়ও সালাম দেওয়াই সুন্নত। বিদায় নেওয়ার সময় ‘আল্লাহ হাফেজ’, ‘খোদা হাফেজ’, ইত্যাদি বলাও জায়েজ, কিন্তু সুন্নত নয়। সুন্নত হলো সালাম দেওয়া যেমন নবিজি (সা.) করেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসলামে সালাম অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বেশি বেশি সালাম দিতে উৎসাহিত করে বলেছেন সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ ও ভালোবাসা বাড়ায়। নবিজি (সা.) বলেন, সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! আপনারা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না আর পরস্পরে সৌহার্দ ও ভালোবাসা না রেখে আপনারা মুমিন হতে পারবেন না। আমি আপনাদের এমন কাজের কথা বলছি যা আপনাদের পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধি করবে, নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি সালাম আদান-প্রদান করুন! (সহিহ মুসলিম: ২০৩)
Advertisement
মানুষ সৃষ্টির পরপরই আল্লাহ তাআলা তাকে সালামের সৌজন্য শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষের মধ্যে প্রথম সালাম দিয়েছিলেন প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করলেন। এরপর তাকে বললেন, যাও, ফেরেশতাদের সালাম দাও। উত্তরে তারা তোমাকে কী বলে তা ভালো করে শোনো। এটিই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের অভিবাদন।
আদম (আ.) ফেলেশতাদের কাছে গিয়ে তাদের সালাম দিলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’ অর্থাৎ আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। উত্তরে ফেরেশতারা বললেন, ‘আসসালামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ’ অর্থাৎ আপনার ওপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। ফেরেশতারা ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হোক’ বৃদ্ধি করলেন। (সহিহ বুখারি: ৬২২৭)
ওএফএফ/এএসএম
Advertisement