শেরপুর জেলার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অন্যতম বিদ্যাপীঠ শেরপুর সরকারি কলেজ। এ কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ২০৯ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে এ কলেজ থেকে এক শিক্ষাবর্ষে এত শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ হয়নি। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
Advertisement
২০৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৩ জন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন এবং বাকিরা দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্য নিয়ে জেলার বিশিষ্টজনেরা বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে মফস্বল শহর থেকেও দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া কোনো বিষয় নয়। এর জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে নিজেকে তৈরি করা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবার মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
Advertisement
শেরপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামছুল হুদা চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের এ কৃতিত্ব গর্ব ও আনন্দের। তারা যদি নিয়মিত ক্লাস করে তাহলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেকটা সহজ হয়। তাই আমি শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার সময়টা খুব গুরুত্বের সঙ্গে কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রেশমি বলেন, আমি টার্গেট নিয়ে পড়াশুনা করেছিলাম। এটিই আমাকে এতদূর আনতে সাহায্য করেছে।
ঢাকা ডেন্টালে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রাইফা মাহবুব ইরফা বলেন, আমি নিয়মিত ক্লাস ও শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুসরণ করে সফল হয়েছি। আমার সবসময় ভবনা ছিল ভালোভাবে পড়াশোনা করলে মফস্বলের কিংবা শহরের কলেজ সব প্রতিষ্ঠান থেকে সফলতা পাওয়া যায়।
শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে আমরা আনন্দিত। এ শিক্ষাবর্ষে আমাদের কলেজ থেকে মোট ২০৯ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আগামীতে এ সংখ্যা আরও ছাড়িয়ে যাবে। একসময় কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় নিয়মিত ক্লাস করতে পারতো না। এখন এ সমস্যাটি নেই। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কলেজ বাস চালু হয়েছে। আশা করছি শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কলেজের সুনাম আরও বৃদ্ধি করবে।
Advertisement
উমর ফারুক সেলিম/এমএন/এএসএম