যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ৯৫ লাখ ১২ হাজার ৩৯৪ জন। প্রতি বর্গকিলোমিটারে সাড়ে চারশোরও কম মানুষ থাকে। ইসরায়েল একটি ইহুদি রাষ্ট্র হলেও সেখানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অন্যান্য ধর্মের অনুসারীও বসবাস করেন। জার্মানির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যাটিস্টা’ অনুযায়ী, জনসংখ্যার বিচারে দেশটিতে ইহুদিদের পরেই রয়েছে মুসলিমরা।
Advertisement
এছাড়া সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিষ্টান এবং দ্রুজ ধর্মের লোকজনও বসবাস করে। স্ট্যাটিস্টার ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান বলছে, তখন ইসরায়েলে ইহুদিদের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৭১ লাখের কিছুটা বেশি এবং মুসলিম ছিল প্রায় ১৭ লাখ ৭৪ হাজার। অপরদিকে খ্রিষ্টান এক লাখ ৮০ হাজার ৫০০ জন ও দ্রুজদের সংখ্যা এক লাখ ৫১ হাজার ৩০০ জন।
তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইহুদি আছে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে, বিশ্বের মোট ইহুদিদের অর্ধেকের কিছুটা কম সংখ্যক মানুষ ইসরায়েলে বসবাস করে। বাকি প্রায় অর্ধেক বাস করে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা, ফ্রান্সের মতো দেশেও কিছু সংখ্যক ইহুদি আছে।
তবে ইসরায়েলের মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনি আরব বংশোদ্ভূত। তারা বর্তমানে ইসরায়েলের নাগরিক হিসেবেই বসবাস করে।
Advertisement
এদিকে স্ট্যাটিস্টার গত বছরের আরেকটি পৃথক হিসেব বলছে, ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা বেড়ে ৯৮ লাখ হয়েছে এখন এবং এদের মাঝে দুই লাখের বেশি হলো আরব। যদিও ইসরায়েলে বসবাসরত আরবরা অভিযোগ করেন যে, সরকারি ভাবেই তারা বৈষম্যের শিকার হন এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকদের মতো ব্যবহার করা হয় তাদের সঙ্গে।
হিব্রু ইউনিভার্সিটির এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ইহুদি ইসরায়েলিদের ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষই ইরানের ওপরে আক্রমণ সমর্থন করেন। কিন্তু আরব ইসরায়েলিদের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ এর বিরুদ্ধে। ওই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে যে, আরব ইসরায়েলিদের ৬৯ দশমিক দুই শতাংশ মানুষ হামলার ভয়ে ভীত আর ২৫ দশমিক এক শতাংশ মানুষ হতাশ।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
টিটিএন
Advertisement