বৃষ্টির সময় কিংবা খুব গরম দেখা যায় এসি ছাড়লেই বিকট এক দুগর্ন্ধ বের হতে থাকে। অনেকেই ঠিকভাবে মাসের পর মাস এসি ফিল্টার পরিষ্কার করে না। এর ফলেও দুর্গন্ধ হতে পারে। আরও অনেক কারণেই এসি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। তবে এটি মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ বড় কোনো সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে এই দুর্গন্ধ।
Advertisement
আসুন দেখে নেওয়া যাক এসি থেকে দুর্গন্ধের কারণ এবং তা দূর করার উপায়-
>> কখনো কখনও এসি থেকে আঁশটে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। এর ফলে ঘরে বসে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরনের দুর্গন্ধের অর্থ হল কনডেন্সার বা জলের ট্রে, ড্রেন পাইপ, ড্রেনে ময়লা জমা। বাইরের আর্দ্রতার কারণে, এয়ার ফিল্টারে ধুলো ছত্রাক সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে এয়ার ফিল্টার, জলের ট্রে, ড্রেন পাইপ পরিষ্কার করা উচিত অথবা এসি সার্ভিস করানো উচিত।
>> যদি এসি থেকে পচা ডিমের মতো গন্ধ পাওয়া যায়, তাহলে সতর্ক থাকতে হবে। এই গন্ধ সম্ভবত এসির বাইরের ইউনিটের ভেতরে টিকটিকি, ছোট পাখি, পোকামাকড়, কাঠবিড়ালির মৃত্যুর কারণে হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, সময়ে সময়ে বাইরের ইউনিটটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে পরিষ্কার করতে হবে। >> যখন কেউ এসি চালু রেখে ঘরের ভেতরে বসে থাকে, তখন যদি হঠাৎ পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়, তখন দেরি না করে অবিলম্বে এসিটি বন্ধ করে দিতে হবে। এটি শর্ট সার্কিটের কারণে ঘটতে পারে। এটি সম্ভব যে ভিতরের তার পুড়ে গিয়েছে। কখনও কখনও এটি সিলিন্ডার লিক হওয়ার কারণেও ঘটে। গ্যাসের থেকেও সেই গন্ধ হতে পারে এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কয়েলের ছিদ্রের কারণে এটি ঘটে। গ্যাস বের হওয়ার কারণে তখন এসি ঘরটি সঠিকভাবে ঠান্ডা করবে না। প্রতি সপ্তাহে বা ১৫ দিনের মধ্যে এসির এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। ড্রেন লাইন এবং কনডেনসেট ড্রেন প্যান পরিষ্কার করাও গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে জল সঠিকভাবে নিষ্কাশন করা গুরুত্বপূর্ণ। ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষা এবং পরিষ্কার করতে হবে। যদি গ্যাস লিক হয়, তাহলে একজন এসি মেরামতকারী টেকনিশিয়ানকে ফোন করতে হবে।
Advertisement
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/এএসএম