দেশজুড়ে

ব্রিজ নেই, একমাত্র সাঁকো ভেঙে দুর্ভোগে আট গ্রামের মানুষ

ব্রিজ নেই, একমাত্র সাঁকো ভেঙে দুর্ভোগে আট গ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বা‌রোমা‌সিয়া (বাণিদাহ) নদীর ওপর ২২০ ফুট দৈ‌র্ঘের এক‌মাত্র বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে। এতে চরম দু‌র্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের তিন ইউনিয়নের আট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তাদের নদীতে বুক সমান পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রায় এক মাস আগে ভে‌ঙে পড়া সাঁকোটি সংস্কার না ক‌রায় ক্ষোভ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন স্থানীয়রা। বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু-শিক্ষার্থীসহ নারীরা।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকায় নবিউলের ঘাট বা আমিন মেম্বারের ঘাট নামে পরিচিত এলাকায় বা‌রোমা‌সিয়া (বাণিদাহ) নদী পারাপারের জন‌্য ২২০ ফুট লম্বা এক‌টি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এটি আট গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন শতশত মানুষ পারাপার হতো এ সাঁকো দিয়ে। কিন্তু এক মাস আগে সাঁকোর দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট অংশ ভেঙে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় ভোগা‌ন্তি।

কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার আজগার আলী, নুরুল হো‌সেন, আক্কাস আলীসহ কয়েকজন বা‌সিন্দা জানান, প্রায় এক মাস আগে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এখন পর্যন্ত ভাঙা সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। আমরা প্রতিদিন কষ্ট ক‌রে এই নদী পারাপার হচ্ছি। অচিরেই সাঁকো‌টি সংস্কা‌রের দাবি জানান তারা।

ওই এলাকার আমেনা বেগম আক্ষেপ ক‌রে ব‌লেন, দীর্ঘদিন ধ‌রে নদীর ওপর তৈ‌রি করা বা‌শেঁর সাঁকো দি‌য়ে পারাপার হ‌চ্ছি। তবুও এখা‌নে একটা ব্রিজ হলো না। এখন সেই সাঁকোটিও ভে‌ঙে গে‌লো, সে‌টিও ঠিক হ‌চ্ছে না। আমা‌দের কষ্ট দেখার কেউ নেই।

Advertisement

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, আমাদের ছয় নম্বর ওয়ার্ডে বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীতে একটি সাঁকো আছে। সেই সাঁকো দিয়ে দুপাড়ের হাজারো মানুষ পারাপার হতেন। কিন্তু গত এক মাস আগে তীব্র স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় পারাপারে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। স্কুলের ছেলেমেয়েরা পার হতে পারছে না। বিষয়‌টি ঊর্ধ্বতন‌ কর্তৃপক্ষকে অব‌হিত করা হ‌য়ে‌ছে।

ফুলবা‌ড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিরাজুদ্দৌলা জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে। বরাদ্দ এলে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈ‌রি ক‌রে দেওয়া হবে।

রোকনুজ্জামান মানু/এমএন/জিকেএস

Advertisement