দেশজুড়ে

বরগুনা হাসপাতালের স্টাফদের মারধর, আটক ৪

বরগুনা হাসপাতালের স্টাফদের মারধর, আটক ৪

হাসপাতালের চাদর-বালিশ নিতে বাধা দেওয়ায় স্টাফদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ইমারজেন্সি অ্যাটেনডেন্ট মো. ফারদিন মৃধা (২৬), অ্যাটেনডেন্ট মো. সুজন (২৪), স্ট্রেচার বেয়ারা মো. মাইনুদ্দিন (২৫) ও নিরাপত্তাকর্মী মো. রায়হান মৃধা (২১)।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে হাতের রগ কাটা অবস্থায় আবু বকর নামের এক রোগী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের স্টাফদের বিশ্রামের কক্ষ থেকে সরকারি চাদর ও বালিশ নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

Advertisement

এসময় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা স্টাফরা চাদর ও বালিশ ফেরত চাইলে রোগীর সঙ্গে থাকা ১০-১৫ জন স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে চারজন আহত হন। তাদের চিৎকারে অন্য কর্মীরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. বাদল মুন্সি (২৮), মো. বেল্লাল (২৪), মো. মহিবুল মৃধা (১৯) ও মো. শাওন (২২)।

এ বিষয়ে হাসপাতালের অ্যাটেনডেন্ট মো. ফারদিন মৃধা জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে এক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল রেফার করা হয়। তবে তার স্বজনরা আর্থিক অবস্থা খারাপ বলে প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই ছিল। পরে আমাদের স্টাফদের ঘুমানোর রুম থেকে চাদর এবং বালিশসহ রোগীকে নিয়ে বরিশাল রওয়ানা করেন স্বজনরা। এসময় আমরা চাদর-বালিশ ফেরত চাইলে রোগীর সঙ্গে থাকা প্রায় ১০-১৫ জন মিলে আমাদের মারধর করেন।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালের সরকারি মালামাল নেওয়া এবং স্টাফদের মারধরের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নুরুল আহাদ অনিক/জেডএইচ/জেআইএম