দ্বিতীয় রামসার সাইট সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের জন্য অবশ্যই পালনীয় ১৩টি নির্দেশনা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
Advertisement
শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। ফলে তারা হাউসবোটে করে সকাল সন্ধ্যা কিংবা রাত পর্যন্ত হাওরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরতে থাকেন। সেইসঙ্গে উচ্চশব্দে গান-বাজনা করতে থাকায় প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে হাওরের জীববৈচিত্র্য। এসব কারণে জীববেচিত্র্য রক্ষায় ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে ১৩টি করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ক একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখ করা হয়-
Advertisement
বর্জনীয়—উচ্চশব্দে গান-বাজনা করা বা শোনা যাবে না। হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না। মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না। পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না। কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না ও মনুষ্যসৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
করণীয়—জেলা প্রশাসন নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে। লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হতে বিরত করতে হবে। দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যেবক্ষণ করতে হবে। ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে। স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ এবং ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এরইমধ্যে বিভিন্ন উদ্যােগ নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা পর্যটকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
লিপসন আহমেদ/এসআর/জেআইএম
Advertisement