ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন করার সময় শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২২ জুন)। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলে নির্ধারিত প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীরা। নির্বাচনে অংশ নিতে দলের প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ারও সুযোগ রয়েছে।
Advertisement
এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ কিছু দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস সময় বাড়ানো হয়। বর্ধিত এ সময় শেষ হচ্ছে আজ রোববার।
নতুন দলের ক্ষেত্রে ইসির নিবন্ধনের শর্ত হলো- দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়।
সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০ উপজেলা কিংবা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথিও দেখাতে হবে।
Advertisement
দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতির তথ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন৬ প্রতীক নিয়ে বিকেল ৩টায় ইসিতে যাচ্ছে এনসিপিসাবেক সিইসি-ইসিদের বিরুদ্ধে ইসিতে বিএনপির অভিযোগ, থানায় মামলাআবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তা যাচাই-বাছাই শুরু করবে। নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারলে দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন সনদ দেবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। সম্প্রতি নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। এছাড়া আদালতের আদেশে নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ জাময়াতে ইসলামী। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইসি থেকে নিবন্ধন পেয়েছে ৬টি দল।
এর আগে গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। নতুন দল এনসিপি আজ বিকেলে নিবন্ধন আবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।
Advertisement
২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। এরপর এনসিপিসহ ৪৬ দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
সেসময় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ২২ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলের হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি।
এমওএস/কেএসআর/জেআইএম