জাতীয়

সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ

সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজ রোববার বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কর্মচারীরা সচিবালের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করেন।

Advertisement

রোববার (২২ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এসময় তারা ‘আপস না লড়াই, লড়াই লড়াই’, ‘সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ সহ নানান স্লোগান দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন কর্মচারীরা। পরে তারা ৬ নম্বর ভবনে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বরাবরে স্মারকলিপি দেন।

সবশেষ ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সব মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানবো না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।

Advertisement

আরও পড়ুনসাবেক সিইসি-ইসিদের বিরুদ্ধে ইসিতে বিএনপির অভিযোগ, থানায় মামলাশেখ হাসিনাকে ধরে আনতে তো পারবো না, আন্তর্জাতিক নিয়মে ফিরিয়ে আনবো

তিনি বলেন, কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। পোস্টার যারা ছিড়েছে সিসি ফুটেজের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করবো। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাঁটিয়ে দিতে হবে।

চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছে। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। ঈদের ছুটির পর গত সোমবার (১৬ জুন) ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।

এমএএস/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement