চলছে বর্ষাকাল। বর্ষা এলেই গাছ লাগানোর উৎসব শুরু হয়। তবে অনেকেই পছন্দ করেন বীজ থেকে নিজের হাতে চারা তৈরি করতে। তাই সবার আগে বীজের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। ফলে ভালো মানের বীজ কিনতে হবে। খুব পুরোনো বীজ থেকে গাছ বের হতে চায় না।
Advertisement
বীজ লাগানোর আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ডুবে যাওয়া বীজগুলো থেকে গাছ বের হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বীজ বপনের জন্য পটিং মিক্সার ভালো হতে হবে। ৬০ শতাংশ কোকোপিট, ২০ শতাংশ বালি, ২০ শতাংশ কমপোস্ট মিশিয়ে বীজ লাগাতে পারেন। এ মাটি ঝুরঝুরে হওয়ায় বীজ ভালো থাকে।
পটিং মিক্সারের খুব ভেতরে বীজ ফেলা যাবে না। যে পাত্রে বীজ ফেলবেন, তা ৭০ শতাংশ ভরে নিন। এরপর ওপর দিয়ে ফের পটিং মিক্সার দিন ২০ শতাংশ। একটি হিসেব লক্ষ্য করতে পারেন। বীজ যতটা চওড়া; ততটা মাটি দেবেন বীজের ওপরে।
আরও পড়ুন আষাঢ় মাসে আউশ ধান চাষ চারা গাছ রোপণের পর করণীয়বীজ লাগানোর পর স্প্রে বোতল দিয়ে পানি দেবেন সকাল-বিকেল। খেয়াল রাখবেন, মাটি যেন কখনো শুকিয়ে না যায়। আবার সব সময় ভেজা ভেজা থাকলেও হবে না। এমনকি সরাসরি যেন সূর্যের আলো না পড়ে। এমন জায়গায় রাখবেন, যেখানে আলো-বাতাস চলাচল করে।
Advertisement
বীজ থেকে বের হওয়া চারার বয়স ১৫-২০ দিন হলে খুব হালকা করে গুলে সার দিতে পারেন। অন্তত ১০-১২টি পাতা বের হলেই তা বড় টবে বা মাটিতে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।
এরপর সাধারণত ১ লিটার পানিতে ১ চা চামচ নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম (এনপিকে) ব্যবহার করা যায়। চারা গাছে খাবার দিতে ২ লিটার পানিতে ১ চা চামচ এনপিকে গুলুন। গাছের মাটিতে ও গায়ে স্প্রে করুন।
এসইউ/জিকেএস
Advertisement