দেশজুড়ে

হাত ধোয়ার বেসিনগুলো পড়ে আছে অবহেলায়, ট্যাপ-সাবানদানি চুরি

হাত ধোয়ার বেসিনগুলো পড়ে আছে অবহেলায়, ট্যাপ-সাবানদানি চুরি

দিনাজপুরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দপ্তরের সামনে স্থাপন করা হাত ধোয়ার বেসিনগুলো। জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। চুরি হয়ে গেছে ট্যাপ ও সাবানদানি।

Advertisement

দেশে পুনরায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর বেসিনগুলো সংস্কার করা হয়নি। তবে এগুলো পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনাজপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় জনসমাগম হয় এমন জায়গাগুলোতে ৪৬টি বেসিন নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি বেসিনে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার ১০০ টাকা করে। এতে মোট ব্যয় হয় ১৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেসিনগুলোর ব্যবহার কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকায় বেসিনগুলোতে লাগানো পানির ট্যাপ, সাবানদানিগুলো চুরি হয়ে গেছে। অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে বেসিনগুলো। জমেছে ময়লা-আবর্জনা।

দেশে আবারও দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এ অবস্থায় আলোচনায় এসেছে করোনা প্রতিরোধে ১১টি স্বাস্থ্যবিধির কথা। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সে কারণে বিভিন্ন দপ্তরের সামনে নির্মিত বেসিনগুলো পুনরায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেসিনগুলো সংস্কার বা চালু করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

Advertisement

সদর উপজেলায় নির্মিত ১০টি বেসিনে দেখা যায়, কোথাও পানিভর্তি আবার কোথাও ময়লা জমে আছে। ট্যাপ ও সাবানদানিগুলো নেই। দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়াল সংলগ্ন, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালের জরুরি বিভাগ এবং ট্রেজারি অফিসের সামনের বেসিনগুলো অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে।

২০২১ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, তিন দফায় টেন্ডারের মাধ্যমে জেলায় ৪৬টি বেসিন নির্মাণ করা হয়। বেসিনগুলো নির্মাণ করার পর প্রতিটি বেসিনের বিপরীতে কিছু সাবান সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে সরবরাহ করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে দেখা দেওয়ায় বেসিনগুলো সংস্কার করা হবে কি-না, সে বিষয়ে জানতে শনিবার (২১ জুন) তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ ফেরদৌস স্বাস্থ্যবিধির কথা মনে করে দিয়ে বলেন, আগামী মাসিক মিটিংয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি থাকবে। আমরা বিষয়টি তুলে ধরবো। যদি তাদের বাজেট থাকে তাহলে সংস্কার করে দেবে। অন্যথায় আমরা আমাদের বাজেট থেকে বেসিনগুলো সংস্কার করবো।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এমএস

Advertisement