আন্তর্জাতিক

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুতর আলোচনায়’ বসছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুতর আলোচনায়’ বসছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, তিনি রোববার (২২ জুন) রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছেন ও সোমবার (২৩ জুন) তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে’ বসবেন।

Advertisement

তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাঘচি বলেন, রাশিয়া আমাদের বন্ধু ও আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব বজায় রেখে চলেছি। আমরা সবসময় একে-অপরের সঙ্গে পরামর্শ করি ও আমাদের অবস্থান সমন্বয় করি।

তিনি আর উল্লেখ করেন, রাশিয়া ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে (জেসিপিওএ) স্বাক্ষরকারী দেশ। সোমবার আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করবো ও দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

এদিকে পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সফর ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাত ও ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তেহরান ও মস্কোর মধ্যে কূটনৈতিক সমন্বয়ের একটি বড় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।

Advertisement

এর আগে, স্থানীয় সময়  শনিবার (২১ জুন) রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার দাবি, এসব পারমাণবিক স্থাপনা ধব্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ‌‘সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি ধ্বংস’ হয়ে গেছে। তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, তেহরান যদি শান্তি স্থাপন না করে তবে আরও হামলা চালানো হবে।

গভীর রাতে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য গত আট দিনে আমরা যা দেখেছি তার চেয়েও বড় ট্র্যাজেডি হবে। মনে রাখবেন, এখনো অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে।

তিনি আরও বলেন, যদি শান্তি দ্রুত না আসে, তাহলে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাব। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে সেগুলোতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ নেই বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা নিউজ।

Advertisement

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইসরায়েলে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ইরান থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। তেল আবিবে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে ও জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব হামলায় ইসরায়েলে ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, এমন সতর্কবার্তার পরপরই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র কিছুক্ষণ আগে শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ