চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
Advertisement
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তবে কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে এই কর্মসূচি স্থগিত করে তাদের ১১ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে যান।
বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রোকসেদ আলম জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
Advertisement
সকালে অবস্থান কর্মসূচি থেকে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ রোকসেদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মনে করছি, আমাদের প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে একটি সন্তোষজনক ফলাফল নিয়ে আসবে। আর যদি ফলাফল সন্তোষজনক না হয় আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। ‘মার্চ টু সচিবালয়’ আন্দোলনের পথে আমরা হাঁটবো, এমনকি ‘মার্চ টু যমুনা’ও হতে পারে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ১টার দিকেও তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যেতে দেখা যায়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের তিন দফা দাবি১. পিলখানাসহ সারাদেশের বিডিআর ইউনিটগুলোতে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ— বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
Advertisement
৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনস্থাপন করতে হবে।
এফএআর/ইএ/জিকেএস