অর্থনীতি

বাক্কোয় এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার কর্মসংস্থান, বার্ষিক আয় ৮৫০ মিলিয়ন

বাক্কোয় এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার কর্মসংস্থান, বার্ষিক আয় ৮৫০ মিলিয়ন

দেশের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেছেন, আমাদের সংগঠনটি (বাক্কো) এ পর্যন্ত ৮৫ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং বার্ষিক আয় ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ৪৩০-এর অধিক সদস্য নিয়ে বিপিও শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

Advertisement

রোববার (২২ জুন) রাজধানীর সেনা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ‘বিপিও সামিট-২০২৫’ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। বাক্কোর উদ্যোগে এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের সহযোগিতায় ষষ্ঠবারের মতো এবারের সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক আলোচনায় বাক্কোর সভাপতি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ লাখ টেকসই কর্মসংস্থান ও ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় নিশ্চিত করা, যা অর্জনে বাক্কো তার বলিষ্ঠ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। এ সামিট আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর অন্যতম মাইলফলক।

সামিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিপিও খাত দেশের রপ্তানি আয়ের একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এ খাতের বিকাশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্বদা নীতিগত সহায়তা দেবে।’

Advertisement

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বিপিও খাতকে বিশ্বে তুলে ধরতে কূটনৈতিক মহলের আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এ সামিট সেই আন্তর্জাতিক সংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।’

দুই দিনব্যাপী এ সামিটে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আইসিটি অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বিপিও শিল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। আইসিটি অধিদপ্তর এ যাত্রায় পাশে থাকবে।’

বিপিও শিল্পে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের সভাপতি আইসিটি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বিপিও শিল্পের অগ্রযাত্রা আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠছে। এ খাতের বিকাশে সরকার ও শিল্পখাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার হবে। তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি জগতে যুক্ত করতে হলে তাদের হাতে সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ পৌঁছে দিতে হবে। বিপিও সামিট সে সুযোগটিই তৈরি করে দিয়েছে, যেখানে আমাদের আগামী প্রজন্ম প্রযুক্তিনির্ভর রপ্তানি আয় তৈরির সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, ‘এ সামিটে অংশগ্রহণকারী সবাই আমাদের একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে তোলার পথ দেখিয়েছে। তরুণদের জন্য বিপিও এখন শুধু একটি চাকরি নয়, একটি ক্যারিয়ার।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বৈশ্বিক আউটসোর্সিং ইকোসিস্টেমে অন্যতম শক্তি। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে আমরা সামিটে বিশেষ সেশন করেছি। ভবিষ্যতে বাক্কো ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়নে সরকার ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

সামিটে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি, যারা বাংলাদেশের বিপিও শিল্পের অগ্রযাত্রা ও বৈশ্বিক সক্ষমতা নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রযুক্তিবিষয়ক সাংবাদিক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা।

এমডিএইচআর/এমএএইচ/এমএস