বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশে সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা জোরদারকরণ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
Advertisement
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ মার্টিন এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সরকারি ও আর্থিক খাতে সুশাসন বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ। কর্মসূচির প্রধান বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাস্তবায়নকারী বিভাগ, সংস্থাসমূহ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
৫০ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ঋণের মধ্যে পারফরম্যান্স বেইজড অ্যালোকেশন উইনডো হতে ২২৬ দশমিক ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আইডিএ শর্টার ম্যাচুরিটি লোন হতে ২৭৩ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করা হচ্ছে।
Advertisement
ঋণের ম্যাচুরিটি পিরিয়ড ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর। এ ঋণের বার্ষিক সুদহার, সার্ভিস চার্জ এবং কমিটমেন্ট ফি যথাক্রমে ১ দশমিক ২৫, দশমিক ৭৫ ও দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে চলতি অর্থবছরসহ বাংলাদেশের জন্য কমিটমেন্ট ফি মওকুফ করে আসছে।
আইডিএ-এসএমএল ঋণের ম্যাচুরিটি পিরিয়ড ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১২ বছর এবং এ ঋণের কোন সুদ নেই। শুধু দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি রয়েছে যা বিশ্বব্যাংক মওকুফ করছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর হতে বিশ্বব্যাংক এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ৪৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, যোগাযোগ এবং সেবা খাত আধুনিকীকরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে বিশ্বব্যাংকের প্রায় ১৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে ৪৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এমওএস/এমএসএম
Advertisement